<p>রংপুর অঞ্চলে চাহিদা অনুযায়ী আলুর বীজ বরাদ্দ পাচ্ছেন না চাষি ও কৃষকরা। দেশে আলু উৎপাদনের চাহিদা রংপুর অঞ্চল এগিয়ে থাকলেও এখন তা পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর আলুর উৎপাদন বাড়লেও রংপুর অঞ্চলে আলুবীজের বরাদ্দ কমাচ্ছে সরকারি বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। তথ্য অনুযায়ী চাষিদের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও গত ছয় বছরে আলুবীজের বরাদ্দ কমেছে প্রায় এক হাজার ৪২৮.৭৫৯ টন। রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় এ সময়ে আলু চাষের জমি বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার ২০২ হেক্টর।</p> <p>এ বছর রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় প্রায় দুই হাজার ২৬১ টন বীজ ৮১৮ জন নিবন্ধিত ডিলারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।</p> <p>রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আলুবীজের সম্ভাব্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার টন। গত ২০২৩-২৪ মৌসুমে এক লাখ ৬০৩ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। এবার চাষের জমি আরো বাড়বে।</p> <p>এ বিষয়ে সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক এস এম পিয়াল জানান, সুষ্ঠু নীতিমালা করে বিএডিসি নিজেদের বীজের মান ধরে রাখলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।</p> <p>দেশের অন্যতম আলু রপ্তানিকারক রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বিরাহীম আইএপিপি কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুল ইসলাম জানান, মানসম্মত ও কাঙ্ক্ষিত বীজ না পাওয়ায় তাঁরা চাহিদা অনুযাযী আলু রপ্তানি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।</p> <p>রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক (বিএডিসি বীজ বিপণন) মো. মাসুদ সুলতান জানান, ‘আলুবীজের বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা অফিসে। আমরা শুধু তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি।’</p> <p> </p> <p> </p>