<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৃত্যুর আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে। শহীদ ওয়াসিম আকরাম ঘুমিয়ে আছেন কবরে, কিন্তু এখনো রয়ে গেছে তাঁর কৃতিত্বের স্বাক্ষর। গত বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই পরীক্ষায়ও পাস করেছেন শহীদ হওয়া ওয়াসিম আকরাম। সেই কৃতিত্ব দুনিয়ার চোখে দেখে যেতে পারলেন না তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গেল ১৬ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের মুরাদপুরের কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতা ওয়াসিম। তিনি ছিলেন কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার বাসিন্দা আর চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বুধবার বিকেলে ওয়াসিমের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ফলাফল জানতে পারে তাঁর পরিবার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ফল জানতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সব সদস্যই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ ওয়াসিম আকরামের ছোট বোন সাবরিনা ইয়াসমিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা ভাই-বোন পাঁচজন। তাদের মধ্যে ভাই দুজন। ভাইদের মধ্যে ওয়াসিম ছোট এবং ভাই-বোনদের মধ্যে তৃতীয়। আমার ভাই অনার্স পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন। তাঁর রেজাল্ট আমরা হাতে পেয়েছি। আমার ভাই বেঁচে থাকলে আজ অনেক বেশি খুশি হতেন। ভাইয়ের ভালো ফল শুনে আমার মা-বাবা দুজনই কান্না করছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াসিম ভাই নেই, তাঁর এই ফলাফল দিয়ে কী হবে!</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াসিমের ফলাফল ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে তাঁর বন্ধু জাহেদুল ইসলাম লিখেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ ওয়াসিমের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট শোনার আগেই ঘাতকের বুলেট তার জীবনপ্রদীপ কেড়ে নিয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তৃতীয় তিনি। তাঁর বাবা সৌদিপ্রবাসী শফিউল আলম ও মা জোসনা বেগম। তিনি ২০১৭ সালে কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৯ সালে বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় ১৮ আগস্ট নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়।</span></span></span></span></p>