<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি কমায় কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর নিচু এলাকায় ২০টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এক মাস আগের ভাঙনের ক্ষতি কাটতে না কাটতেই আবারও ভাঙনের কবলে পড়ছে নদীপারের হাজার হাজার মানুষ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সাত দিনে তিস্তায় পানি কমতে থাকলেও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ২০ থেকে ২২টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও কয়েক শ একর ফসলি জমি। গঙ্গাচড়া মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুর পশ্চিম পাশের সেতু রক্ষা বাঁধ থেকে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচলি গ্রাম ও শংকরদহ গ্রাম পর্যন্ত তিস্তার তীরবর্তী দুই কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয়রা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় বাসিন্দা আয়শা, শোপালী, মুকুলসহ আরো অনেকে বলেন, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বসবাসের ঘরটুকু নেই আমাদের। আবার পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঝেমধ্যে জিও ব্যাগ দিয়ে দায়সারা সংস্কারের কাজ করছে। প্রতিদিন ভাঙনের গতি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি ও শংকরদহ গ্রামের বাসিন্দা আয়নাল ও সবুজ বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনের হুমকিতে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে রাস্তায় বসবাস করছি। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোন্নাফ মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক দিন ধরে তিস্তার ভাঙনের শিকার হয়েছে এই এলাকার মানুষ। প্রতিদিন ভাঙতে ভাঙতে তিস্তা আমাদের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার বাঘেরহাট গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি বিলীন হয়েছে কয়েক শ পরিবারের। ভাঙনে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা। বাড়িঘর, ফসলি জমিগুলোও নদীগর্ভে বিলীন। গত এক মাসেও সরকারি কোনো লোকজনের দেখা পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, নদীর পানি কমতে শুরু করায় অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। তবে ভাঙনকবলিত স্থানগুলো জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। পানির গতি কমে যাওয়ায় অনেক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। তিস্তার ভাঙনে রাজারহাটের গতিয়াশাম ও ধরলার ভাঙনে বেগমগঞ্জে গত চার দিনে আড়াই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। গৃহহীন অনেকেই বিকল্প জায়গা না পেয়ে স্কুল, রাস্তা ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে পানি কমলেও নিচু এলাকার ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে ফসল নষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলায় ৪৪৩ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত রাজারহাট ও উলিপুরে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তাঁরা জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছেন।</span></span></span></span></p>