<p>কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকার প্রদত্ত উচ্চতর শিক্ষায় (এম এস ও পিএইচডি) ফেলোশিপের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চতর শিক্ষায় (এম এস ও পিএইচডি) ফেলোশিপের জন্য আবেদন আহবান করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক বিভাগগুলোতে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) স্বাক্ষরিত চিঠিতে আবেদন আহবান করা হয়। সেই চিঠির সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিও সংযুক্ত করা হয়। সেখানে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৫ মে। অর্থাৎ বিভাগগুলোকে চিঠি দেওয়ার চার দিন আগেই আবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ফেলোশিপে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। মন্ত্রণালয় থেকে সময়মতো চিঠি এলেও কর্মকর্তাদের টেবিলে পড়ে থাকায় তা সময়মতো পাঠানো হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ঢিলেমি ও অবহেলার জন্য শিক্ষার্থীরা এই ফেলোশিপের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।</p> <p>ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি ইনজামুল হক বলেন, ‘ফেলোশিপের আবেদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার চার দিন পর চিঠি পেয়েছি। এটা আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খামখেয়ালি বলে মনে করি। এটা কখনোই প্রত্যাশিত নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’ চিঠি প্রেরণকারী উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খান বলেন, ‘এটি পাঠানোর দায়িত্ব ছিল উপ-রেজিস্ট্রার টিপু সুলতানের। তিনি না পাঠানোয় টেবিলে পড়ে ছিল। ১৮ মে আমি দেখতে পেয়ে ১৯ মে বিজ্ঞানবিষয়ক তিন অনুষদের ১১টি বিভাগে পাঠিয়েছি।’ উপ-রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে একটি বড় আয়োজন নিয়ে বেশ কিছুদিন ব্যস্ত ছিলাম। এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। রেজিস্ট্রারকে অবহিত করেই কয়েক দিন ছুটিতে ছিলাম। তবে আমার পিয়নকে বলা ছিল আমি না থাকা অবস্থায় কোনো ফাইল এলে যেন আলীবদ্দীন খানকে দেওয়া হয়।’</p> <p>এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আমার কাছে কিছু আসার পর সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিই। এটি একাডেমিক শাখার বিষয় ছিল। তাদের উচিত ছিল যথাসময়ে বিভাগে পৌঁছে দেওয়া। আমি বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নেব। অন্য যে কাজই থাকুক অফিসের কাজে গাফিলতির সুযোগ নেই।’</p>