<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ল্যাবের যন্ত্রপাতি কেনার টেন্ডারে নিয়ম ভেঙে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার মূল্যায়নে অনিয়ম দেখিয়ে গতকাল বুধবার মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প পরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে। তারা কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল টেকনোলজির টেন্ডার বাতিল করার জন্য প্রকল্প পরিচালকের কাছে আবেদন জানিয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকের অফিস সূত্র বলছে, প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন বিভাগের জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি একটি টেন্ডার (লট-৩) আহবান করা হয়। টেন্ডারে শর্ত দেওয়া হয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা এবং একসঙ্গে আট কোটি ৬০ লাখ টাকার বৈজ্ঞানিক অথবা ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার শিডিউলে পণ্যের ব্র্যান্ড নাম, মডেল এবং কোন দেশের পণ্য সেটা উল্লেখ করে দিতে হবে। যদি কোনো পণ্য ডুপ্লিকেট হয় কিংবা পণ্যের গুণগত মান ভালো না হয় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। ১০ মার্চ এই টেন্ডারে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্লোবাল টেকনোলজি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এবং </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় টেন্ডার শিডিউলে ব্র্যান্ডের নাম, মডেল, দেশের নাম গ্লোবাল টেকনোলজি উল্লেখ করেনি। পণ্যের জন্য টেন্ডার নোটিশে দেওয়া টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনগুলোও পূরণ করতে পারেনি গ্লোবাল টেকনোলজি। গ্লোবাল টেকনোলজির প্রস্তাবিত অনেক যন্ত্রই ডুপ্লিকেট এবং সেগুলোর গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি নেই বলে তারা জানতে পেরেছে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজ অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করে, দরপত্রে দেওয়া শর্তে একসঙ্গে আট কোটি ৬০ লাখ টাকার বৈজ্ঞানিক অথবা ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি সরবরাহের অভিজ্ঞতা গ্লোবাল টেকনোলজির না থাকলেও জালিয়াতি করে সেই অভিজ্ঞতা দেখানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ১ এপ্রিল টেকনিক্যাল সাবকমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণীর একটি নথি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে তাঁরা টেন্ডারে চাহিদাকৃত টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে গ্লোবাল টেকনোলজির চেয়ে মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজের বেশি সামঞ্জস্য খুঁজে পান। তবে মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজের চেয়ে গ্লোবাল টেকনোলজি কম মূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারবে বলে টেকনিক্যাল সাবকমিটি পিপিআর-২০০৮ মোতাবেক পণ্য ক্রয় করার জন্য ইভ্যালুয়েশন কমিটির কাছে সুপারিশ করে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দরপত্র দাখিলের একটি নথি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, প্রশাসনের দেওয়া ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বাজেটের মধ্যে মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজ তাদের জমা দেওয়া দরপত্রে ২৩ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকায় যন্ত্রপাতি কিনে দিতে পারবে বলে উল্লেখ করে। অন্যদিকে গ্লোবাল টেকনোলজি ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকায় যন্ত্রপাতি কিনে দিতে পারবে বলে উল্লেখ করে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">মেসার্স এনএস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আনিসুর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">টেন্ডার নোটিশে কোন প্রতিষ্ঠান ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার চেয়ে সর্বনিম্ন ১৫ শতাংশ কম অথবা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ বেশি মূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারবে। আমরা যে মূল্য তালিকা দিয়েছি সেটি দরপত্রে উল্লেখ করা মূল্যের চেয়ে বেশি, কিন্তু সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের চেয়ে কম। আমরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়েছি, কিন্তু সীমার বাইরে যাইনি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আজিজুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যা করেছি সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী করেছি। এনএস এন্টারপ্রাইজ যেহেতু কাজ পায়নি তাই তারা অভিযোগ করছে, তাদের অভিযোগগুলো মিথ্যা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের দেওয়া টেন্ডারে অনেক অসামঞ্জস্য আছে বলে টেকনিক্যাল সাবকমিটির দুজন সদস্য এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেন্ডার কে পাবে সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল, টেকনিক্যাল সাবকমিটির এখানে কাজ ছিল পণ্যের সামঞ্জস্য ঠিক আছে কি না সেটা দেখে ইভ্যালুয়েশন কমিটিকে সুপারিশ করা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></span></p>