<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ১২ জনকে গুমের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৯টি আবেদন করা হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এসব ব্যক্তি গুম হন। তাঁদের মধ্যে দুজন ফিরে এলেও ১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ব্রিফিংয়ে ফিরে আসা দুজনসহ নিখোঁজ ১০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিফিংয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ গুম পরিবার নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬৪টি গুমের ঘটনার তালিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো গ্রহণ করেছি। এখন সেগুলো যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করা হবে। বেশির ভাগ অভিযোগ তৎকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। সংগঠনের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর তাঁকে একটি জায়গায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় মাস তিন দিন গুম ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা। এই দুজন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখনো সন্ধান না মেলা ১০ জনের নাম ও গুম হওয়ার তারিখ ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর। তাঁদের দুজন হলেন আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র‌্যাব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তুলে নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাঁদের সন্ধান পায়নি পরিবার। একই বছর ১০ জুলাই রাজধানীর বনানী থেকে আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁও থেকে ইকবাল হোসেন নামের ব্যক্তিকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> উঠিয়ে নিয়ে যান। তাঁরাও আর ফিরে আসেননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মো. কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। একইভাবে ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয় সোহেল মিয়াজীকে। তাঁদেরও আর সন্ধান পায়নি পরিবার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া কুদ্দুসুর রহমান চৌধুরীকে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুর-১ থেকে, ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মোহাম্মদ সাজুকে মোহাম্মদপুর থেকে, ২০২০ সালের ৬ জুন ভাসানটেক থেকে মো. মোস্তফাকে এবং একই বছরের ৪ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর চৌরাস্তা থেকে আইনুল ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। এসব ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।</span></span></span></span></p>