<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর গুলিবর্ষণ, হত্যা, ঘরবাড়ি, দোকানপাট, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের  উদ্দেশে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সামগ্রিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করে আলোচনার যথাযথ উদ্যোগ নিন এবং অবিলম্বে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ হয়। সমাবেশ থেকে আট দফা দাবিও উপস্থাপন করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানবাধিকারকর্মী দীপায়ন খীসার সঞ্চালনায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাবেশে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পার্বত্য সমস্যার সমাধান না হলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সমস্যার সমাধান হবে না। পাহাড়িরা নিরাপদ না থাকলে বাংলাদেশও নিরাপদ থাকবে না। সেই ১৯৭৬ সাল থেকেই পাহাড়ে যেভাবে সমস্যাগুলো বাড়িয়ে তোলা হয়েছে তাতে ক্রমে পাহাড়িদের অধিকারকে সংকুচিত করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর আমরা আশা করেছিলাম, পার্বত্য সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এই চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। কাজেই এই চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>   </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেকেই বলে থাকেন, পাহাড়ের আদিবাসীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী। কিন্তু আমি এ ক্ষেত্রে একটা কথা বলি।  আপনারা অনেকেই দেখেছেন, পাহাড়ে গত ১০ বছর আগেও সেভাবে নেটওয়ার্ক ছিল না।  কিন্তু নেটওয়ার্ক কম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন দিত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের ৬১ জেলায় নেটওয়ার্ক। কিন্তু বাংলাদেশের জেলা কি ৬১টি?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>