<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৌসুমের শুরুতে তীব্র তাপদাহ এবং পরে একটানা বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহে এবার কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। তিন সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সাত দিনে তা কমে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় ঠেকেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও স্বস্তি আসেনি নিম্ন আয়ের মানুষের। অনেকেই এখন কেজির বদলে গ্রামে কিনছেন কাঁচ মরিচ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষকদের সূত্রে জানা যায়, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে মরিচের চারা লাগানোর মৌসুম। তবে তাঁর আগে থেকেই তীব্র তাপদাহ আর খরার কারণে জমিতে সময়মতো কাঁচামরিচের চারা লাগানো যায়নি। যেসব কৃষক সেচের পানি কিনে চারা রোপণ করেছিলেন, সেসব চারার বেশির ভাগ মরে গেছে তাপদাহের কারণে। জুনের মাঝামাঝি বৃষ্টির দেখা মিললেও তা পর্যাপ্ত নয়। পরে আবার একনাগাড়ে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মরিচের অনেক গাছই মরে গেছে বা মরতে বসেছে। এতে মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়ে গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মার্চের মাঝামাঝি শুরু হওয়া খরিফ-২ মৌসুমে জেলায় এক হাজার ৭৪১ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫০০ টন উৎপাদনের। তবে এই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অনেক কম মরিচ উৎপাদন হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের কৃষক গোলাম নবী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছর প্রথম দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেতের চারা মরে যায়। ফলে আমাদের উৎপাদন কম হয়েছে। এ বছর শ্রমিকের মজুরিও অনেক বেশি। ফলে কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও আমরা মরিচ চাষে লাভ করতে পারিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মরিচের আবাদ বছরে সাধারণত একবারই হয় খরিফ-২ মৌসুমে। মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চারা লাগাতে হয়। চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ফুল আসার পর মরিচ ধরতে শুরু করে। এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত মরিচের ফলন হয়। এ সময়ে বাজারে যেমন সরবরাহ বেশি থাকে, দামও থাকে কম। এ বছর প্রাকৃতিক কারণেই মরিচগাছের জীবনকাল শেষ হয়ে গেছে। ফলে ফুল ও ফল ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। আর এতে করে উৎপাদন একেবারেই কমে গেছে। এ জন্য বাজারে মরিচের দামের প্রভাব পড়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবার শীতের সবজির সঙ্গে মরিচের চারা রোপণ শুরু হয়ে যাবে। মাস দুয়েকের মধ্যেই আবার বাজারে নতুন মরিচ আসতে শুরু করবে। এতে দামও কমে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>