<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায়</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> করা ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটির বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এই রায় দেন। এ সময় মামুনুল হক আদালতে ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমরা দীর্ঘদিন বলে আসছি মাওলানা মামুনুল হককে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রোমেল মোল্লা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালত মামুনুল হককে নির্দোষ ঘোষণা করে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আজ (বৃহস্পতিবার)। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খালাস পেয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসে কথিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আমার চরিত্র হরণের চেষ্টা করেছিলেন। একজন মানুষের চরিত্র হরণের চেষ্টা করা চরিত্রবান মানুষের কাজ হতে পারে না। তিনি আমার চরিত্র হরণের জন্য গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছেন। নির্মম ও বর্বরভাবে তিনি আমার গোটা পরিবারকে জিম্মি করে তাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে, হত্যার ভয় দেখিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর ষড়যন্ত্র থেকে আমাকে বাঁচিয়েছেন। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা রক্ষা করেছেন। আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উল্লেখ্য, অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাঁকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। পুলিশ তাঁকে নজরদারিতে রাখে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল হক। এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালীন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই ধর্ষণ মামলায় জামিনে ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>