<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ওয়ান ইন আ মিলিয়ন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মারক্রামের চোখে কাগিসো রাবাদা একজনই! এই টেস্টেই সবচেয়ে কম বলে ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছা ফাস্ট বোলারের অবশ্য নতুন বল পাওয়ার অপেক্ষা একটু দীর্ঘই ছিল। তৃতীয় দিনের বিকেলে আলোর স্বল্পতার জন্য শুধু স্পিন দিয়েই চালিয়ে নিতে হচ্ছিল সফরকারীদের। তবে চতুর্থ দিনের সকালে রাবাদার হাতে নতুন বল উঠতে না উঠতেই মিরপুর টেস্টের আয়ুষ্কাল সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদিও তৃতীয় দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বিশ্বাসের জোরে বহুদূর যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের সংকল্পের কথাই বলেছিলেন। কিছুদিন আগে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জেতার ঘটনাই ছিল স্বাগতিকদের বিশ্বাসের ভিত। টেল এন্ডার নাঈম হাসানের সঙ্গে ৮৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে তেমনই আরেকটি গল্প লেখা হতে দেখার প্রত্যাশা থাকলেও প্রথম ওভারেই সব আশায় জল ঢেলে দিলেন রাবাদা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশেরও গুটিয়ে যেতে আর সময় লাগে না খুব। ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ২৫ মিনিটই। এই সময়ে তাদের যোগ করা রানও সামান্যই, ২৪। তাই সফরকারীদের কাজ কঠিন করে তোলার মতো লক্ষ্য যেমন ছুড়ে দেওয়া যায়নি, তেমনি মিরাজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষাও ফুরোয়নি। লক্ষ্য যখন মাত্র ১০৬ রানের, তখন সেটি ছুঁয়ে ফেলতে প্রোটিয়া ব্যাটাররা ব্যাটিংও করতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজেই। তাতে ৩ উইকেট খোয়া যায় বটে, তাই বলে ৭ উইকেটের পরম আরাধ্য এক জয় দিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে যেতেও বেগে পেতে হয় না প্রোটিয়াদের। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটি তাদের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আরাধ্য</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> জয়ই। ভারতীয় উপমহাদেশে এ রকম একটি জয়ের জন্য কিনা দক্ষিণ আফ্রিকাকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে দীর্ঘ এক দশক। সেই ২০১৪ সালে শেষবার তারা এই অঞ্চলে টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছিল শ্রীলঙ্কার গলে। পরের ১০ বছরে খেলা ১৪ ম্যাচের ১০টিতেই হার। এর মধ্যে টানা হেরেছে ৯ ম্যাচে। ৪টি ম্যাচ ড্র করলেও এর প্রতিটিতেই ছিল বৃষ্টির সৌজন্য। এবার সেই দুঃসহ রেকর্ড বদলাতে এসেও খুব ভরসা ছিল না দলটির। কারণ বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই এই অঞ্চলে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অথচ ভারতীয় উপমহাদেশে নিজের প্রথম টেস্টেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন কাইল ভেরেইন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন প্রোটিয়া এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারই। তবে স্পিনবান্ধব উইকেটে খেলতে হবে জেনেই আসা রাবাদাও পেসারদের জন্য সামান্য আনুকূল্যের ফায়দা লুটেছেন পুরোপুরি। সকালে দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে শুরুর পর তৃতীয় বলেই আঘাত হানেন তিনি। ১৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা নাঈম হাসানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে। সুবাদে ৬৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৫ বার </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফাইফার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বা ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। এমনিতে উইকেটে কিছুটা সময় টিকে থাকতে অভ্যস্ত তাইজুল ইসলাম উইয়ান মুল্ডারের বলে দ্রুতই বিদায় নেওয়ায় শুধুই ছিল মিরাজের সেঞ্চুরি পাওয়ার অপেক্ষা। কিন্তু উইকেটে শেষ ব্যাটার সঙ্গী হওয়ার কারণেই কিনা অস্থিরতা থেকে তিনি রাবাদার বলে চালাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৯৭ রানে। এই বছরই চতুর্থবার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থামলেন তিনি। তাঁকে থামানো রাবাদা ৪৬ রানে নেন ৬ উইকেট। এই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর শিকার ৯টি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল এবার যোগ করলেন আরো তিনটি। তাতে অবশ্য প্রোটিয়াদের জয় অনিশ্চিত করে তোলার পরিস্থিতি তৈরি করা যায়নি একটুও।      </span></span></span></span></span></p> <p> </p>