<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নবীজি (সা.)-এর চাচাতো ভাই আকিল (রা.)। তিনি নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের দ্বিতীয় পুত্র। আলী (রা.)-এর ভাই। বয়সে আলী (রা.) থেকে ২০ বছরের বড়। বিয়ে করেন শাইবা ইবনে রাবি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আর মেয়ে ফাতিমাকে। (উসদুল গাবা : ৬/২২৭; ফাতহুল বারী ১/২৮৬)</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলাম গ্রহণ ও হিজরত</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রথম থেকেই আকিলের মনোভাব ইসলাম ও মুসলমানের প্রতি দুর্বল ছিল। কিন্তু মক্কার কাফিরদের ভয়ে ইসলামের ছায়াতলে আসতে পারেননি। মনের বিরুদ্ধে নেতাদের সঙ্গে বদরের যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধে মুসলমানদের হাতে বন্দি হয়ে যান। আকিল ছিলেন হতদরিদ্র। মুক্তিপণ পরিশোধের মতো অর্থকড়ি তাঁর কাছে ছিল না। চাচা আব্বাস (রা.) তাঁর মুক্তিপণ দিয়ে তাঁকে মুক্ত করেন। (আল-ইসতি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আব : ৩/১০৭৮; সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/১৪০)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বন্দিদশা থেকে মুক্তি লাভ করে ফিরে যান স্বদেশ মক্কায়। মুসলমান হননি তখনো। মক্কা বিজয়ের বছর (অষ্টম হিজরি) মতান্তরে হুদাইবিয়ার সন্ধির পর ইসলাম গ্রহণ করেন এবং অষ্টম হিজরি সনের প্রথম দিকে মদিনায় হিজরত করেন। ঠিক সেই বছরের জুমাদাল উলা মাসে সংঘটিত মূতার যুদ্ধে অংশ নেন। তারপর তিনি ফিরে যান মক্কায়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে মক্কা বিজয়, তায়েফ অভিযানে অংশ নিতে পারেননি। কোনো বর্ণনামতে, হুনাইন যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং বিপর্যয় মুহূর্তেও ময়দানে অটল ছিলেন। (উসদুল গাবা : ৩/৫৬১; সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/১৪০; আসহাবে রাসুলের জীবনকথা : ২/১৪৩)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলাম গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় রাসুল (সা.)-এর সাহচর্য থেকে দূরে থাকার কারণে রাসুল (সা.)-এর প্রিয়জন এবং আলী (রা.)-এর বড় ভাই হিসেবে দ্বিনি জ্ঞানে যেমনটা এগিয়ে থাকার দরকার ছিল, তেমনটা এগিয়ে আসতে পারেননি। তবু হাদিসের গ্রন্থগুলোতে তাঁর থেকে বর্ণিত দু-চারটি হাদিস পাওয়া যায়, যা মুহাম্মদ, হাসান বসরি, আতা প্রমুখ তাবেঈ বর্ণনা করেছেন। ধর্মীয় জ্ঞানে তিনি ততোটা বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ না থাকলেও জাহেলি যুগের বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞ ছিলেন। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বংশবিদ্যা ও প্রাচীন আরবের যুদ্ধবিগ্রহের ইতিহাস ইত্যাদি। কুরাইশদের মধ্যে আবু বকর (রা.)-এর পরে বংশবিদ্যায় তিনিই ছিলেন সর্বাধিক অভিজ্ঞ। এসব বিষয়ে জানার জন্য মসজিদে নববীতে মানুষ তাঁর কাছে ভিড় জমাতো।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(আস-সিরাতুল হালাবিয়্যাহ : ১/৩৯০)</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আকিলের প্রতি রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি রাসুল (সা.)-এর সুন্নতের প্রতি খুব বেশি যত্নশীল ছিলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে অন্তর থেকে ভালোবাসতেন। একদা রাসুল (সা.) তাঁকে বলেন, আমি তোমাকে দ্বিগুণ মহব্বত করি। প্রথমত তুমি আমার চাচাতো ভাই, দ্বিতীয়ত আমার প্রিয় চাচার প্রিয় পুত্র। রাসুল (সা.) তাঁর জন্য খাইবারের উৎপন্ন শষ্য থেকে বার্ষিক ১৪০ ওয়াসাক করে নির্ধারণ করে দেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(উসদুল গাবা : ৩/৫৬১; সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/১৪০)</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সন্তান</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১. মুসলিম, ২. ইয়াজিদ, ৩. সাঈদ, ৪. জাফর, ৫. আবু সাঈদ আল-আহওয়াল, ৬. মুহাম্মদ, ৭. আব্দুর রহমান ও ৮.আব্দুল্লাহ। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/১৩৯)</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইন্তেকাল</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুআবিয়া (রা.)-এর শাসনামলের শেষের দিকে অথবা তাঁর পুত্র ইয়াজিদের শাসনামলের শুরুর দিকে আকিল (রা.) ইন্তেকাল করেন। তিনিই তাঁর ভাইদের মধ্যে সর্বশেষ ইন্তেকাল করেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া : ৮/৪৭)</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>