<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা তিন গুণ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০২৪-৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক বিনিয়োগ ঘাটতি ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে পারে। জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ৯৬৭ বিলিয়ন ডলার অর্থের সংস্থান করা ব্যাংকগুলো তাদের অর্থ নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে নিয়ে এসে এই ঘাটতি মেটাতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল এনালিসিসের (আইইইএফএ) এক নতুন ব্রিফিং নোটে এমনটাই বলা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিফিং নোটে বলা হয়, বাকুতে হতে যাওয়া ২৯তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯), যাকে বলা হচ্ছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জলবায়ু অর্থায়নের কপ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-আর এ সম্মেলনেই নবায়নযোগ্য বুিদ্যৎ খাতে আরো অর্থায়ন বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ জোগাতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নীতিগতভাবে সম্মতি প্রদান করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই নোটে বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের প্রবণতা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২০২৩ সাল থেকে অনুমিত ঘাটতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) অনুমান করছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ঘাটতি হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই নোটে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত থেকে অর্থ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে সরিয়ে এনে ব্যাংকগুলো বার্ষিক ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর মাত্র ছয় বছর বাকি, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা বেশ দূরের মনে হচ্ছে, কিন্তু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতা ও অনুকূল স্থানীয় নীতি হয়তো এই ব্যবধান কমাতে পারে,</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলেছেন আইইইএফএ দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক, নোটের অন্যতম লেখক বিভূতি গার্গ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনুঘটক তহবিলের ঘাটতি পূরণে, উন্নত দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে, অতিরিক্ত জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোসহ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন তিন গুণ করার আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাকুর কপ২৯-এর আলোচকদের লেগে থাকা উচিত,</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলেছেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নোটে বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তা পৃথক পৃথক প্রাক্কলনে দেখা যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, নবায়নযোগ্য শক্তি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে। এই বিনিয়োগ ২০১৯ সালে ৩২৯ থেকে ৪২৪ বিলিয়ন সীমার মধ্যে ছিল, ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৫৭০ থেকে ৭৩৫ বিলিয়ন ডলার সীমায় উঠে যায়; অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগে উল্লম্ফন ঘটে ৭৩-৭৮ শতাংশ। যদিও নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ তিন গুণ করার লক্ষ্যপূরণে ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে এক থেকে দেড় ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে গড় বিনিয়োগ ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে ৪০০ বিলিয়ন ডলার।</span></span></span></span></p>