<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় পর্যায়ে ফায়সালা শেষে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগসহ তাদের সহযোগী ছোট-বড় দলগুলো নিয়ে সিরিয়াস বিতর্ক আছে। আগে জাতীয় পর্যায়ে ফায়সালা হোক। সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কনফারেন্স হলে এক সৌজন্য সাক্ষাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিইসি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আশা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই বিতর্কের একটা ফায়সালা হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আরো কয়েকটি দল আছে, জোট আছে। তাদের রাজনীতি করা-না করা নিয়ে এক ধরনের বিতর্ক চলছে। এ নিয়ে আমি এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। নির্বাচনের আগেই এসবের ফায়সালা হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এটা এখনো ম্যাচিউরড পর্যায়ে আসেনি। সুতরাং এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌজন্য সাক্ষাতে সিইসি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব। সর্বশক্তি দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতায় জাতিকে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষ এখন ভোটের নাম শুনলে নাক সিঁটকায়। কারণ, অতীতের নির্বাচনগুলোতে তারা ভোট দিতে পারেনি। ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বা খাস নিয়তে যে কাজ সেটা জানাতে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আমরা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকব। কিন্তু ভালো কাজগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন। এতে আমরা উৎসাহিত হব, কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনা করা হবে। দেশের মানুষ বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছেন। আমি একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিন সিইসি নাসির উদ্দীন এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নিয়েছেন। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নতুন নির্বাচন কমিশনকে শপথ পাঠ করান। প্রথমে এ এম এম নাসির উদ্দীন সিইসি হিসেবে শপথ নেন। পরে চার কমিশনার সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তাহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা, মন্ত্রিপরিষদসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী  শপথ পাঠ করে দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ পায়। ফলে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচন এই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। শপথ গ্রহণ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিইসি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফার্স্ট অব অল শপথ নিয়েছি। শপথের সম্মানটা রাখতে চাই। শপথ সমুন্নত রাখতে চাই। আমি এটাকে নিজের জীবনের বড় অপরচুনিটি হিসেবে দেখছি। অপরচুনিটি টু সার্ভ দ্য নেশন। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা অবাধ ও নিরপেক্ষ একটা নির্বাচনের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছেন। অনেক আন্দোলন করেছেন বিগত বছরগুলোয় এবং অনেকে রক্ত দিয়েছেন। আমি তাদের একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য সর্বোচ্চটুকু করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শপথ গ্রহণ শেষে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে যান সিইসিসহ কমিশনাররা। এ সময় ইসি কর্মকর্তারা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কমিশনাররা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে সিইসিসহ চার ইসিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ওই তালিকা থেকে পাঁচজনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।</span></span></span></span></p>