<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই পোশাককর্মী আহত হয়েছেন। আন্দোলনরত কর্মীরা পুলিশের একটি ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতেও আগুন দিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে গতকাল সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গুলিবিদ্ধ পোশাককর্মী আল আমিন ও ঝুমা আক্তারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুই দিন আগে কচুক্ষেত এলাকায় মৌসুমি অ্যান্ড ভুঁইয়া নামের একটি ভবনে থাকা একটি পোশাক কারখানায় এক নারী শ্রমিককে মারধর করা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানাটিতে উত্তেজনা চলছিল। নারী শ্রমিককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরেকজন পুরুষ কর্মীও মারধরের শিকার হন। গত বুধবার সকালে শ্রমিকরা ওই কারখানায় গিয়ে কারখানা বন্ধ দেখতে পান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে এবং কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে কয়েক শ শ্রমিক গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর কচুক্ষেতের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় রাস্তার দুই পাশে যানবাহন আটকে গিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলেও তাঁরা না সরে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। এ সময় আন্দোলনকারীরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। সংঘর্ষ মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ বেশ কয়েকটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সকাল ১১টার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কাফরুল থানার ওসি কাজী গোলাম মোস্তফা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করা ও টিয়ার শেল ছোড়া হয়েছে। একপর্যায়ে পোশাক শ্রমিকরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শ্রম পরিস্থিতি অশান্ত করতে ইন্দন!</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকরা হঠাৎ রাস্তায় নামার পেছনে কারো উসকানি থাকতে পারে বলে মনে করছেন পোশাক খাতের শ্রমিক ও উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, গত কয়েক দিন আগে সুপারভাইজার এবং শ্রমিকের মধ্যে অসন্তোষ নিয়ে কারখানায় কথা-কাটাকাটি হলে বিষয়টি তাত্ক্ষণিক মীমাংসা করা হয়। তার পরও শ্রমিকদের মাঠে নামাকে রাজনৈতিক ইন্দন হিসেবেই দেখছেন শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মীমাংসিত বিষয় নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ আমাদের বিস্মিত করেছে। শুধু তা-ই নয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর-আগুন ধরিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে অপতৎপরতা। তিনি আরো জানান, ওই কারখানার কোনো বেতন-ভাতা বকেয়া নেই।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>