<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের ১১টি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এসব মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জাকির হোসেন, মো. আজমল হোসেন খোকনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রায়ের পর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ১১টি মামলার মধ্যে নাশকতার অভিযোগের ১০টি মামলা, অন্য মামলাটি রাষ্ট্রদ্রোহের। নাশকতার অভিযোগে মামলাগুলোর এজাহারে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। তদন্তের পর অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় অহেতুকভাবে বিএনপির চেয়ারপারসনের নাম ঢোকানো হয়েছে। এই মামলাগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিকভাবে রুল নিয়েছিলাম। শুনানির পর রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাগুলো বাতিল করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, সরকারের অনুমতি না নিয়ে কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যায় না। যে মামলাটি আজ হাইকোর্ট বাতিল করেছেন, এই মামলা করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে এই মামলায় সম্পৃক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই মামলাও হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছেন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সব মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে এত দিন স্থগিত ছিল। এখন সেগুলো বাতিল ঘোষিত হয়েছে। বাতিল হওয়ায় এসব মামলার আর অস্তিত্ব থাকছে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমরা ১৫ বছর ধরে বলে আসছি, দেশে আইনের শাসন নেই। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো ছিল বেআইনি। সেই বক্তব্য আজ প্রমাণিত হলো। ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করলে নাশকতার মামলা হয় না। তা জেনেও এই মামলাগুলোতে খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আছে, কাউকে নাশকতা মামলার আসামি করলে ঘটনাস্থলে সেই ব্যক্তির উপস্থিতি থাকতে হবে। যখন এই মামলাগুলো করা হয়েছে, তখন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। হিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়াকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মামলাগুলো হয়েছিল।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>