<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ সময়ের পরিক্রমায় সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা পেয়েছে। গত কয়েক দশকে এই সংগঠন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রশ্রয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, দখল, নিয়োগ বাণিজ্যসহ সর্বগ্রাসী রূপে আবির্ভূত হয়েছিল। স্কুল-কলেজ, সড়ক-মহাসড়কসহ প্রায় সব নির্মাণকাজ থেকেই চাঁদা উঠাত ছাত্রলীগ। চাকরি পাইয়ে দেওয়া, বদলি বাণিজ্যেও এই সংগঠনের কর্মীদের একাধিপত্য ছিল। দেশজুড়ে ছোট বাজার থেকে শুরু করে শত বা হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজেও হস্তক্ষেপ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনের কর্মীরা বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ২০১৩ সাল থেকে। তৎকালীন সরকার ছাত্রলীগকে মাঠে নামায় জামায়াত-শিবিরকে দমন করার জন্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সহযোগিতায় সংগঠনটির অনেকেই প্রায় দানব হয়ে ওঠেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যা করে নিষ্ঠুরতার প্রমাণ দেয় ছাত্রলীগ। সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হকিস্টিক, রডসহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেদিন তাঁদের হাত থেকে ছাত্রীরাও রেহাই পাননি। ওই ঘটনার পরের দিন থেকেই মূলত আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের পদপদবি পেয়েই দখল, চাঁদাবাজি, ভাড়াটে গুণ্ডা হিসেবে কাজ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অনেকে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের আশকারায় তাঁদের অনেকে চরম বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ছাত্রলীগের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরও। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হলেও কিছু করার ছিল না দলের নেতাদের। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতটাই বেপরোয়া হয়েছিলেন যে তাঁরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করতেও ছাড়েননি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। আলটিমেটামের এক দিন আগেই গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। নিষিদ্ধ করার পর আলোচনায় আসছে তাদের নানা অপকর্ম।   </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্রলীগ ছিল আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা : সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে বেশি আশকারা দেওয়ার কারণে তারা কাউকে মানতে চাইত না। এমনকি হেলমেট ছাড়া রাজধানীতে মোটরসাইকেল চলাচল পুলিশের তরফ থেকে নিষিদ্ধ করলেও তারা ছিল অপ্রতিরোধ্য। পুলিশ তাদের কিছু বলতে গেলে মারমুখী হয়ে উঠত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি আরো জানান, ছাত্রলীগের অনেক নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার সরাসরি যোগাযোগ থাকায় পুলিশের চাকরি হারানোর ভয় ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কোনো কোনো ছাত্রলীগ নেতা বেয়াদবি করলেও তাঁরা বিষয়টি চেপে যেতেন। অনেকে পুলিশের কাছে প্রতিকারও চাইতেন, কিন্তু কিছুই করার ছিল না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাদের (ছাত্রলীগ) অতীত কার্যকলাপ ভালো ছিল না। ছাত্র হত্যা, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িয়ে পড়েছিল। ছাত্রসংগঠনের যে আদর্শ তা থেকে বিচ্যুত হয়ে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার কারণেই তাদের নিষিদ্ধ হতে হলো।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই আইনজীবী আরো বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একটি সংগঠন নিষিদ্ধ করার জন্য যত ধরনের উপাদান প্রয়োজন, গত ১৫ বছরের ছাত্রলীগের মধ্যে তার সবই বিদ্যমান ছিল। ফলে তাদের সরকার নিষিদ্ধ করতে পেরেছে। গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগের মানবিক কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে তারা মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল। ছাত্রলীগকে দিয়ে বিরোধী রাজনীতিকদের হেনস্তা করা হতো। তারা লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে মারধর করত, যা আইনের চোখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একটা লড়াকু ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) ধীরে ধীরে তার চরিত্র বদলে একটা ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়াল সংগঠনের দিকে যাত্রা শুরু করল।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে অসংখ্য অপরাধে জড়িয়েও বেশির ভাগ ছাত্রলীগকর্মী নেতাদের প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যেতেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ধর্ষণের অভিযোগ : ২০১৯ সালে সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ধর্ষণকাণ্ড অবশ্য নতুন নয়। চাঞ্চল্যকর ধর্ষণকাণ্ডের কারণে ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ আলোচনার শীর্ষে আসে। তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিক শততম ধর্ষণ করে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন। সেই সময় বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নানা টালবাহানার পর জাবি প্রশাসন তাঁকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনার নায়ক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। এ রকম ধর্ষণের ঘটনা অসংখ্য।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হত্যাকাণ্ডে ছিল সিদ্ধহস্ত : ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। ফেসবুকে ভারতবিরোধী একটি পোস্টের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের হাতে পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নিহত হন দরজি দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস। তাঁকে শিবিরের কর্মী সন্দেহ করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ। ওই সময় অনেকে ভিডিও ধারণ করছিল। বিশ্বজিৎ বাঁচার জন্য কাকুতিমিনতি করে বলছিলেন তিনি শিবিরের কর্মী নন। কিন্তু তাতে থামেননি ছাত্রলীগের কর্মীরা। অবশেষে তাঁর মৃত্যুর পর জানা যায় যে তিনি শিবিরের কর্মী নন, দরজির কাজ করেন। ওই হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত থেকে তাঁদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ রকম হত্যার ঘটনাও কম নয়।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্রলীগ করে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান : সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, প্লট, ফ্ল্যাট দখল ও চাঁদাবাজি করে ছাত্রলীগের অনেক নেতা শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। তাঁদের একজন গাজীপুরের রেজাউল করিম। ছাত্রলীগের এই নেতা ৩২ বছর বয়সে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন সাভারের আতিকুর রহমান আতিক। তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেই হয়েছিলেন সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। সভাপতি হওয়ার পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। শতকোটি টাকার মালিক বনে যান তিনিও। এ রকম ঘটনা অসংখ্য।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি : গত ৩ জুন রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-সংলগ্ন পলাশী কাঁচাবাজারে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাঁদাবাজি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. মেহেদী হাসান ও শহিদুল ইসলাম গণপিটুনির শিকার হন। মেহেদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। শহিদুল তাঁর সহযোগী। চাঁদাবাজির মামলায় দুজনকে পরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্যও ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হতো। গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান আটকে চাঁদাবাজি করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। চালক প্রতিবাদ করলে কাভার্ড ভ্যানটিই আটকে দেওয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাভার্ড ভ্যানটি ছেড়ে দেন হল ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মী। এ রকমভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় সব স্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীই বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তথ্য-উপাত্ত বলছে, ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি আর আধিপত্যের খবরে ঠাসা থাকত পত্রিকার পাতা। সড়ক-মহাসড়কসহ দেশজুড়ে যত ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হতো, এর প্রায় সব স্থানেই বেপরোয়া হস্তক্ষেপ ছিল ছাত্রলীগের। বলতে গেলে চাঁদা না দিয়ে নির্মাণকাজ এগিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ছাত্রলীগের হামলা : ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলামোটরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এই ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ কাইয়ুম এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সামিউল হক আহত হয়েছিলেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মশিউর রহমান রুবেল, মামুনুর রশীদসহ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছিলেন। বিরোধী নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলার এ রকম ঘটনাও অসংখ্য।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>