<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে এবং আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সর্বাত্মক সমর্থনে ৭২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল রবিবার খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। আন্ত জেলা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে গাড়ি চলেনি। শহরতলিতে হালকা যান চলাচল করতে দেখা যায়। জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত বন্ধ ছিল। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রাঙামাটিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় গতকাল সকাল ১১টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও গতকাল সন্ধ্যার পর পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। তবে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাঙামাটিতে স্তব্ধতা </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শুক্রবারের তাণ্ডবে তছনছ বনরূপার কাঁচাবাজারে একান্ত বাধ্য হয়ে আসা ক্রেতাদের উপস্থিতির কারণে কিছু মানুষের ভিড় চোখে পড়লেও সড়কে গণপরিবহন না থাকায় পুরো শহরের জনজীবনে এক ধরনের স্তব্ধতা নেমে আসে। শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশাও চলেনি। বন্ধ ছিল ব্যক্তিগত যান চলাচলও। ফলে মোটরসাইকেলে করে বা হেঁটেই অফিসে যেতে দেখা গেছে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ঠিক সময়ে হেঁটে পৌঁছলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল না। অফিসগুলোর চিত্রও ছিল প্রায় একই রকম। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো শহর। শহরের মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের অবস্থান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন শুক্রবারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সম্প্রীতিসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সংঘাত রোধ এবং সম্প্রীতি রক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। রাঙামাটি শহরবাসীকে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল। তাঁরা জানিয়েছেন, শহরে পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ ম্যাজিস্ট্রেটরা টহলে আছেন। কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটার সুযোগ নেই। গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক বলেন, শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আশার করছি, দ্রুতই সব কিছু স্বাভাবিক হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাজেকে আটকা ১৪০০ পর্যটক</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে এই অবেরাধ কর্মসূচির কারণে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় অবকাশকেন্দ্র রাঙামাটির সাজেক পর্যটক কেন্দ্রে প্রায় এক হাজার ৪০০ পর্যটক আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। গতকালও তারা ফিরতে পারেনি। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, আটকে পড়া পর্যটকের সংখ্যা এক হাজারের বেশি হতে পারে। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জানান, শুক্রবার সকাল ও দুপুরের এসকর্ট মিলিয়ে ১১০ থেকে ১১৫টি জিপ, ৫০টি মাহিন্দ্রা ও অটোরিকশা সাজেকে প্রবেশ করে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও অনেকে গেছে। হঠাৎ অবরোধের ঘোষণা আসায় পর্যটকরা আর ফিরতে পারেনি। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহসভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় জানান, সাজেকে বর্তমানে প্রায় এক হাজার চার শর মতো পর্যটক অবস্থান করছে। যেহেতু পর্যটকরা ফিরে যেতে পারেনি, তাই রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটকদের থাকার খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে নিরাপত্তাঝুঁকি থাকায় পর্যটকদের কোনো গাড়ি গতকাল ছাড়া হয়নি। সাজেকে পর্যটকরা আটকা পড়েছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তারা সবাই নিরাপদে ও সুস্থ আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, আগে থেকেও কিছু পর্যটক সেখানে ছিল। এর ফলে অবরোধের কারণে কতজন পর্যটন আটকা পড়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। রুইলুই রিসোর্টের মালিক নুরনবী জানান, তাঁর রিসোর্টে ৯ জন পর্যটক রয়েছে। তারা খাগড়াছড়িতে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। গরবা রিসোর্টের মালিক মো. নজরুল ইসলাম জানান, অবরোধের কারণে সেখানে পানি ও খাদ্যের সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঘাইছড়িতে কর্মরত একটি টেলিভিশনের সংবাদদাতা ওমর ফারুক সুমন জানান, অবরোধের মধ্যে সাজেক সড়কে দুটি বেইলি সেতুর পাটাতন উপড়ে ফেলা হয়েছে। ফলে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট ভোরে জেলা সদরের শালবন এলাকার বাসিন্দা মো. মামুনকে চুরির অভিযোগ এনে পিটিয়ে আহত করার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ-সহিংসতায় চারজন নিহত ও অনেকে আহত হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অনেক দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সহিংসতা ঠেকাতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানায় ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার। প্রতিষ্ঠানটি ১১টি গুজব শনাক্ত করে। সরকারের পক্ষ থেকে এবং স্থানীয় অনেকে এই সংঘাত-সহিংসতার পেছনে বাইরের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে জানায়। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রীতি সমাবেশে যেসব সিদ্ধান্ত</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাঙামাটিতে গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতিসভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে শহরের পৌরসভা থেকে বনরূপা পর্যন্ত এবং কলেজ গেট থেকে জিমনেসিয়াম পর্যন্ত সভা-সমাবেশ করা যাবে, কিন্তু জিমনেসিয়াম থেকে বনরূপা পর্যন্ত এলাকায় কোনো মিছিল-সমাবেশ করা যাবে না; জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কোনো মিছিল-সমাবেশ করা যাবে না, তবে পূর্বানুমতি সাপেক্ষে ধর্মীয়, সামাজিক শোভাযাত্রা করা যাবে; সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে চিকিৎসা সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে, পুরো শহর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে; দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা হবে; গুজব রটনকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে; বনরূপার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে পর্যায়ক্রমে সহযোগিতা করা হবে; শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সম্প্রীতি রক্ষায় কমিটি হবে এবং শহরের পাঁচটি এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ করা হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রীতিসভায় বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কে এস মং, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা, জামায়াতের জেলা আমির মো. আব্দুল আলিম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙামাটি অটোরিকশাচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদুল চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানার ওসি মো. শফিউল আজমের সভাপতিত্বে কলাবাগান রেইনবো রেস্টুরেন্টে সম্প্রীতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া এই উপজেলার টিঅ্যান্ডটি টিলার শান্তিময় চাকমা কার্বারির বাসভবনেও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামুন হত্যা মামলার আসামি দুজন আ. লীগ নেতা</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামুন নামের যে যুবককে হত্যার ঘটনায় এত সহিংসতা ও সংঘর্ষ, সেই হত্যা মামলায় নামীয় আসামি করা হয়েছে তিনজন বাঙালিকে। তাঁরা হলেন মো. শাকিল, রফিকুল আলম ও দিদারুল আলম। এই তিনজনের মধ্যে রফিকুল আলম (৫৫) খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র। রফিকুল আলমের ভাই দিদারুল আলম (৫০) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মো. শাকিল (২৭) আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই তিনজন ছাড়াও ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা উপজাতি ও বাঙালিকেও আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই মামলা করা হয়। নামীয় তিন আসামির মধ্যে রফিকুল আলম ও দিদারুল আলম গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, মামুনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। মুক্তা আক্তার জানান, তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়ে যারা পিটিয়ে মেরেছে, তাদের মধ্যে পাহাড়িও ছিল, বাঙালিও ছিল।</span></span></span></span></p>