<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। ইসরায়েলি বাহিনী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করে চলেছে। তবে এতে দমেনি হিজবুল্লাহ। নতুন একটি সামরিক কমান্ড ইসরায়েলে রকেট হামলা ও স্থল লড়াইয়ে নির্দেশনা দিচ্ছে। এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত হিজবুল্লাহর দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার নামে গত মাসের শেষের দিক থেকে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদের বেপরোয়া হামলায় দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহকেও হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র দুটি রয়টার্সকে জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহ কমান্ড কিছুটা বিঘ্নিত হয়। তবে ৭২ ঘণ্টার পরই তারা নতুন একটি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপারেশন কক্ষ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">  প্রতিষ্ঠা করেন। রয়টার্স জানায়, এই সূত্রগুলোর একজন হিজবুল্লাহর মাঠভিত্তিক কমান্ডার এবং অপর সূত্রের সঙ্গে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, লেবাননে হামলা চালিয়ে তারা হিজবুল্লাহর অনেক অস্ত্র গুদাম ধ্বংসের দাবি করেছে। তবে হিজবুল্লাহর অভিযানের বিষয়ে জানে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন চারটি সূত্র বলছে, হিজবুল্লাহর অস্ত্র-গোলাবারুদের ভাণ্ডার এখনো বেশি ভালো পরিমাণে রয়েছে। এই গোষ্ঠীটির কাছে  অত্যন্ত শক্তিশালী প্রিসিশন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এগুলো এখনো তারা লড়াইয়ে ব্যবহার করেনি। ইসরায়েলি থিংক ট্যাংক আলমার বিশ্লেষক আব্রাহাম লেভিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর চেইন অব কমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে ইসরায়েলি জনগণ বা সেনাবাহিনীর ওপর হামলার সক্ষমতা ফুরিয়ে যায়নি। হিজবুল্লাহ এখনো শক্তিশালী গোষ্ঠী রয়েছে বলে মনে করেন ওই বিশ্লেষক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী গতকাল শনিবার বলেছে, তারা ইসরায়েলের উপকূলীয় হাইফা নগরীর দক্ষিণে ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে অ্যাম্বুল্যান্স </span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ লেবাননে এবার হতাহতদের বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্সে হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, এসব  অ্যাম্বুল্যান্স হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করছেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননের আরো কিছু গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার পর  অ্যাম্বুল্যান্স লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিল ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করায় ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় শরণার্থীশিবিরে হামলায় নিহত ২২</span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর  হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার  রাতে  এই হামলা হয়।  গতকাল শনিবার জাবালিয়ার কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা গতকাল জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গত শুক্রবার রাতে জাবালিয়ায় আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণ করেছে। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা দ্বিতীয় বছরে পড়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলায় এ পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।  সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা, এএফপি</span></span></span></span></p>