<p>পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি আধাসামরিক সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালিয়ে সাতজন সেনাকে হত্যা করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএফপি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এর এক সপ্তাহ আগেই একই সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করেছিল।</p> <p>নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বেলুচিস্তানের কালাত জেলার ফ্রন্টিয়ার কর্পসের একটি সীমান্ত চৌকিতে আক্রমণ চালিয়ে সাতজন সেনাকে হত্যা ও ১৫ জনকে আহত করেছে। সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চলেছে।’</p> <p>একজন স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য ‘এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে (প্রাদেশিক রাজধানী) কোয়েটায় বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে।’</p> <p>এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। বিএলএ প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী বা পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ থেকে আসা লোকজন, বিশেষ করে পাঞ্জাবিদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে থাকে।</p> <p>প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই ‘সন্ত্রাসী হামলা’র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>এই সর্বশেষ হামলাটির মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিএলএ বেলুচিস্তানে একটি রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করেছিল, যার মধ্যে ১৪ জন সেনাও ছিলেন। বিএলএ দাবি করেছিল, আগের হামলাটি ‘কোয়েটা রেলস্টেশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর চালানো হয়েছিল...যারা ইনফ্যান্ট্রি স্কুলে একটি কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন।’</p> <p>এ ছাড়া আগস্ট মাসে বিএলএ একটি সমন্বিত হামলার দায় স্বীকার করেছিল, যেখানে ডজনখানেক হামলাকারী অন্তত ৩৯ জনকে হত্যা করেছিল। এটি ওই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ নিহতের সংখ্যা।</p>