<p>পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবিতে লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে আচমকাই পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় একটি আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে। মাঝরাতেই শুরু হয় অগ্নুৎপাত। লাভার ছাই ও ধোঁয়ার একটি দীর্ঘ মেঘ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম খালি করতে বাধ্য হয়। পূর্ব নুসা টেঙ্গারা প্রদেশের ফ্লোরেস দ্বীপে অবস্থিত মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি রবিবার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। </p> <p>দ্য সেন্টার অফ ভলকানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন (পিভিএমবিজি) এর মুখপাত্র হাদি বিজয়া সোমবার বলেছেন, ‘অগ্নুৎপাতের পরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল এবং তারপরে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।’ </p> <p>তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরিটির লেভেল ৪ বা সর্বোচ্চ সতর্কতা স্তরে উন্নীত করেছে। হাদি বলেন,  জলন্ত লাভা এবং শিলা প্রায় চার কিলোমিটারজুড়ে কাছাকাছি বসতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাসিন্দাদের বাড়িঘর পুড়ে গেছে।</p> <p>আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত অন্তত নয় জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ইস্ট ফ্লোরেস এলাকার স্থানীয় কর্মকর্তা হেরোনিমাস লামাউরান। তিনি বলেন, ‘অগ্নুৎপাত সাতটি গ্রামের ক্ষতি করেছে। আমরা আজ সকাল থেকে আগ্নেয়গিরি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১৩ মাইল) দূরে অবস্থিত অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছি।’</p> <p>হেরোনিমাস যোগ করেছেন, সোমবার সকালে নিকটবর্তী গ্রামগুলো পুরু আগ্নেয়গিরির ছাই দিয়ে ঢেকে গেছে। কর্তৃপক্ষ এখনও কতজন মানুষ সরিয়ে নিয়েছে এবং কতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করছে।</p> <p>দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। এটি একটি তীব্র ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ যেখানে, টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ হয়।</p> <p>এই অগ্ন্যুৎপাত ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের একটি সিরিজের পরেই ঘটল। গত মে মাসে হালমাহেরার প্রত্যন্ত দ্বীপ মাউন্ট ইবুতে আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সাতটি গ্রামের মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।</p> <p>উত্তর সুলাওয়েসির রুয়াং আগ্নেয়গিরি থেকেও গত মে মাসে অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং কর্তৃপক্ষকে ১২ হাজারের বেশি লোককে সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিল। দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের মাউন্ট মারাপি থেকে আকস্মিক বন্যা এবং ঠান্ডা লাভা প্রবাহের কারণে গত ১১ মে মুষলধারে বৃষ্টি আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে। এতে ৬০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স<br />  </p>