<p>ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সম্ভবত গাজার বাইরের একটি নতুন রাজনৈতিক নেতাকে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের স্থলাভিষিক্ত করতে পারে। যিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।</p> <p>নতুন নেতৃত্বের আলোচনায় হামাসকে অবশ্যই তার প্রধান সমর্থক ইরানের পছন্দ বিবেচনায় রাখতে হবে। এ ছাড়া উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র কাতারের স্বার্থও বিবেচনা করতে হবে, যেখানে পলিটব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সকল প্রধান প্রার্থী বর্তমানে বসবাস করছেন। </p> <p>সিনওয়ার ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলার একজন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। যে ধ্বংসাত্মক হামলার কারণে গাজা যুদ্ধকে প্রজ্বলিত করেছিল। গত বুধবার একটি বন্দুকযুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তিনি নিহত হয়েছেন। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার হামাস তাদের আরেক শীর্ষ নেতাকে হারিয়েছে। </p> <p>এর আগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে জুলাই মাসে ইরানে হত্যা করা হয়েছিল। এটা প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, এর পেছেনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। যখন সিনওয়ার তার স্থলাভিষিক্ত হন তখন তিনি গাজার সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব উভয়কে একত্রিত করেছিলেন। কিন্তু এবার তার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।</p> <p>হামাসের ইতিহাস রয়েছে অতি দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে খালি পদে নতুন প্রতিস্থাপন করা। হামাসের শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা শুরা কাউন্সিলকে নতুন প্রধান বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুরা কাউন্সিল গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, ইসরায়েলি কারাগার এবং ফিলিস্তিনি প্রবাসীদের সকল হামাস সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই বলা যেতে পারে, নতুন নেতা গাজায় না থাকলেও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় থাকতে পারবেন। হামাসের কাছে এখনও যেহেতু অনেক জিম্মি রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাজায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় বহু প্রাণহানি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729317901-b1b2f18193dc99a1a760ace02ead45b1.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাজায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় বহু প্রাণহানি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/19/1436739" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>বিশ্লেষক এবং হামাসের একটি সূত্র অনুসারে, হামাসের প্রধান আলোচক হায়া ছাড়াও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন হানিয়াহের পূর্বসূরি খালেদ মেশাল এবং মোহাম্মদ দারবিশ। মোহাম্মদ দারবিশ একজন স্বল্প পরিচিত ব্যক্তি এবং শুরা কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করেন। হায়া এবং দারবিশ ইরানের ঘনিষ্ঠ।</p> <p>সূত্রটি বলেছে, নতুন যে নেতাকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে হামাসকে কাতারকে অবহিত করতে হবে। কারণ কাতার এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছে, যদিও এখনও কোনো ফল আসেনি। </p> <p>ফিলিস্তিনি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আশরাফ আবুলহৌল আশা করেছিলেন, সিনওয়ারের দায়িত্ব দুটি ভূমিকার মধ্যে বিভক্ত হবে। একটি সামরিক বিষয় তত্ত্বাবধান করা এবং অন্যটি রাজনৈতিক অফিস পরিচালনা করা (আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং নীতি গঠন)।</p> <p>মিসরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদপত্র আল-আহরামের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুয়েলহোল বলেছেন, ‘ইরান হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র। তারা হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সমর্থন করে। কে হবেন সিনওয়ারের উত্তরসূরি, তার জন্য তাদের সম্মতি মুখ্য।</p> <p>সিনওয়ারের মৃত্যুতে গাজার জন্য হামাসের নেতৃত্ব সাময়িকভাবে কাতার-ভিত্তিক ডেপুটি হায়ার হাতে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তবে চলমান যুদ্ধ এবং যোগাযোগের অসুবিধার কারণে হায়া প্রতিদিন সেখানে থাকা যোদ্ধাদের সঙ্গে কতটা যোগাযোগ রাখতে পারবেন, তার ওপর সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড সীমা আরোপ করা হতে পারে। </p> <p>হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, হায়া ‘ডি ফ্যাক্টো গাজা নেতা’ হিসেবে তার ভূমিকা পালনে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রটি উল্লেখ করেছে, হায়া সামরিক শাখার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং সিনওয়ার ও হানিয়াহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠ ছিলেন।</p> <p>ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আকরাম আত্তাল্লাহ বলেছেন, তিনি আশা করছেন, সশস্ত্র শাখা হাইয়ার কর্তৃত্বকে দূর থেকেও সম্মান করবে।’ কাসাম ব্রিগেডের একজন প্রবীণ কমান্ডার মোহাম্মদ সিনওয়ার কদাচিৎ জনসমক্ষে উপস্থিত হতেন। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন তিনি। </p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>