<p>একজন শীর্ষস্থানীয় হামাস কর্মকর্তা রবিবার এএফপিকে জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ফিলিস্তিনি ইসলামী আন্দোলনের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে।</p> <p>ওসামা হামদান ইস্তাম্বুলে এএফপির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রতিরোধ চালিয়ে উচ্চ সক্ষমতা রয়েছে। অনেকে শহীদ হয়েছে এবং অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে...কিন্তু বিনিময়ে প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ও নতুন প্রজন্মের নিয়োগ হয়েছে।’</p> <p>ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বক্তব্যের প্রায় এক সপ্তাহ পর তার এই মন্তব্য এলো। গ্যালান্ট সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গাজায় সামরিক সংগঠন হিসেবে হামাসের অস্তিত্ব আর নেই, গত বছরের ৭ অক্টোবর যাদের হামলার পর যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর হুতিদের যে হুমকি দিলেন নেতানিয়াহু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/15/1726400703-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর হুতিদের যে হুমকি দিলেন নেতানিয়াহু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/15/1425715" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন ওই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির গণনা অনুসারে, হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে এক হাজার ২০৫ জন নিহত হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। পাশাপাশি যোদ্ধারা সেদিন ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৯৭ জন এখনো গাজায় আটক রয়েছে। তবে ৩৩ জন জিম্মি মৃত বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। অন্যদিকে হামাসশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ হাজার ২০৬ জন নিহত হয়েছে।</p> <p>এদিকে নেতানিয়াহু ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে রয়েছেন, যাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির একটি চুক্তি সম্পন্ন করা যায়। ইসরায়েল এই মাসে ঘোষণা করেছিল, গাজায় একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের হামাস ‘নির্বিচারে হত্যা’ করেছে। এই ঘোষণা দুঃখ ও ক্ষোভের স্রোত সৃষ্টি করেছিল, যার ফলে একটি সংক্ষিপ্ত সাধারণ ধর্মঘট এবং বৃহৎ আকারের বিক্ষোভ দেখা দেয়, যা শনিবার রাতেও তেল আবিব ও জেরুজালেমে চলতে থাকে। অন্যদিকে কয়েক মাস ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত হয়ে আছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ৯০ শতাংশ মতৈক্য হয়েছে : ব্লিনকেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/06/1725617379-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ৯০ শতাংশ মতৈক্য হয়েছে : ব্লিনকেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/06/1422728" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রবিবারের সাক্ষাৎকারে হামদান বলেন, ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর কাছ থেকে রক্তপাত বন্ধের জন্য ছাড় আদায় করতে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছে না।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলি পক্ষের ওপর যথেষ্ট বা উপযুক্ত চাপ প্রয়োগ করছে না। বরং তারা ইসরায়েলি পক্ষের কোনো প্রতিশ্রুতি এড়ানোর ন্যায্যতা খুঁজছে।’</p> <p>এই মাসের শুরুতে ছয় জিম্মির মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়ার পর দুটি সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামাস আপস করতে অস্বীকার করছে এবং বাকি সমস্যাগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি ‘চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না’। তিনি আরো বলেছিলেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিহত হামাস যোদ্ধার সংখ্যা ‘১৭ হাজারের কম নয়’।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাপের মুখেও অনড় নেতানিয়াহু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/03/1725374244-605d285f6d0222271f37fa9b96801fda.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাপের মুখেও অনড় নেতানিয়াহু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/03/1421730" target="_blank"> </a></div> </div>