<p>ডেনমার্ক সোমবার বলেছে, তারা নতুন আফ্রিকা কৌশলের অংশ হিসেবে মালি ও বুরকিনা ফাসোতে অবস্থিত তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ সামরিক অভ্যুত্থান ‘সাহেল অঞ্চলে পদক্ষেপের সুযোগ মারাত্মকভাবে সীমিত করেছে’।</p> <p>দেশটি আরো জানিয়েছে, তারা সেনেগাল, তিউনিশিয়া ও রুয়ান্ডায় দূতাবাস খুলবে এবং মিসর, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও ঘানায় অবস্থিত দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিক কর্মীদের শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে বামাকো ও ওয়াগাডুগুতে দূতাবাস বন্ধ হওয়ার পর আফ্রিকান গ্রেট লেকস ও সাহেল অঞ্চলের জন্য একজন বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে।</p> <p>মালি ও বুর্কিনা ফাসোতে সামরিক নেতারা যথাক্রমে ২০২০ ও ২০২২ সালে ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে রাশিয়া ও তাদের ভাড়াটে সামরিক গোষ্ঠী ওয়াগনারের সমর্থন নিচ্ছে দেশ দুটি। এ ছাড়া সম্প্রতি ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে মালির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে একজন সুইডিশ মন্ত্রী মালির রুশ সমর্থনের সমালোচনা করার পর মালির সামরিক জান্তা সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।</p> <p>ড্যানিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেছেন, আফ্রিকা বিষয়ে তার দেশের অগ্রাধিকারের পুনর্গঠন এলো এমন সময়, যখন ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আফ্রিকার ‘পছন্দের অংশীদার’ হতে চায়। কারণ মহাদেশটি ‘পূর্বের দিকে না কি পশ্চিমের দিকে’ বেশি মনোনিবেশ করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>