<p>একই দলে খেললেই যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠবে এমন নিশ্চয়তা নেই। যেমন ভারত এবং দিল্লি দলের হয়ে খেলেও বন্ধু হয়ে উঠতে পারেননি গৌতম গম্ভীর ও আকাশ চোপড়া। দুজনে যে বন্ধু ছিলেন না নিজেই স্বীকার করেছেন বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা আকাশ।</p> <p>একই রাজ্যের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার পরও দুজনে কেন বন্ধু হতে পারেননি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আকাশ। সম্প্রতি এক পডকাস্টে ভারতের সাবেক ওপেনার বলেছেন,‘আমরা একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। কারণ একটা জায়গার জন্যই আমরা লড়াই করছিলাম। আমাদের দল (দিল্লি) খুবই ভালো ছিল। যখন আমরা একসঙ্গে খেলতাম তখন শুধু বিরাট কোহলি অথবা শিখর ধাওয়ানের মধ্যে একজনের খেলার সুযোগ ছিল। দলটি এমনটি ভালো ছিল। এমনকি বীরেন্দর শেবাগেরও ওপেনিং করার সুযোগ ছিল না। বীরু চারে খেলত আর কোহলি ও শিখরের মধ্যে একজন তিনে খেলত। আমরা শুরু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। সত্যি বলতে, সে বন্ধু ছিল না।’</p> <p><iframe frameborder="0" height="315" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" src="https://www.youtube.com/embed/5gyq6VcDhNc?si=Fa7fljJuGTlpaDuQ" title="YouTube video player" width="560"></iframe></p> <p>গম্ভীর কিছুটা রাগী খেলোয়াড় হলেও তার হৃদয় বড় ছিল বলে জানিয়েছেন আকাশ। ভারতের হয়ে ১০ টেস্ট খেলা এই ব্যাটার বলেছেন,‘ সে খুবই প্যাশোনেট ছিল, কঠোর পরিশ্রম করত এবং নিজের দক্ষতা নিয়ে খুবই সিরিয়াস ছিল। সে প্রচুর রান করেছে। অনেক বড় হৃদয় ছিল তার। তবে দ্রুত রেগে যেত।’</p> <p>গম্ভীরের জন্ম দিল্লির সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের। ভারতের বর্তমান কোচের বাবা ছিলেন একজন টেক্সটাইল ব্যবসায়ী। ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম হলেও খেলার জন্য গৌতি সারাদিন মাঠে অনুশীলন করতেন বলে জানিয়েছেন আকাশ। তিনি বলেছেন,‘ সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আসা একজন হৃদয়বান খেলোয়াড় ছিল সে। বাচ্চাদের মতো তার আবেগ থাকায় সে সারাদিন মাঠে থাকত। রুপা নয়, সে সোনার চামুচ মুখে জন্মেছিল। এটা ছিল অন্যরকম এক যাত্রা, মূলত অভিনব বিন্দ্রার (ভারতীয় শুটার) মতো। গৌতমের হৃদয় সঠিক জায়গাতেই আছে।’</p>