<p style="text-align:justify">খেয়া নৌকার মাধ্যমে রশি টেনে খাল পার হতেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মাদারবুনিয়া ও রসুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খালের ওপর লোহার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এক বছরের মধ্যে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। তবু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি। এতে বাধ্য হয়ে এই নির্মাণাধীন সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে খালের এপার থেকে ওপার যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাতকড়া পরে যেভাবে পুলিশের কাছ থেকে পালালেন যুবলীগ নেতা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729832180-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাতকড়া পরে যেভাবে পুলিশের কাছ থেকে পালালেন যুবলীগ নেতা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/25/1438978" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এলাকাবাসীরা জানান, দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মাদারবুনিয়া নামের একটি খাল। খালের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত রসুলবাড়িয়া গ্রামের সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু পূর্ব পাড়ের মাদারবুনিয়া গ্রামটি খালের কারণে সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন। খালের ওপর ধীরগতিতে চলছে লোহার সেতুর নির্মাণকাজ। মাসের পর মাস গেলেও কচ্ছপগতির কারণে কাজ এগোচ্ছে না। মানুষের পারাপারের ভোগান্তিও কমছে না। বিকল্প যাতায়াতের পথ নেই। তাই নির্মাণাধীন সেতুর লোহার কাঠামোর ওপরই বাঁশ বেঁধে বানানো হয়েছে সাঁকো! এই সাঁকো দিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি জেনেও চলাচল করছে লোকজন। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, দুই বছর আগে সদর ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া ও রসুলবাড়িয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা মাদারবুনিয়া খালের ওপর লোহার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দুই কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয়ে কাজটি পায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইএফটিই-ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট প্রস্থের এই সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১ এপ্রিল। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গতি বাড়াতে হবে বাজেট বাস্তবায়নে : অর্থ মন্ত্রণালয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729832364-1821bbc951da6e902efc489e0b1177a7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গতি বাড়াতে হবে বাজেট বাস্তবায়নে : অর্থ মন্ত্রণালয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/25/1438979" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়নি, বরং চলছে ধীরগতিতে। এক বছরের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই বছরেও তা হয়নি। দীর্ঘদিন খালে শুধু লোহার খুঁটি পুঁতে কাজ ফেলে রাখা হয়েছিল। মাস ছয়েক আগে বসানো হয়েছে লোহার অ্যাংগেল। এখনো আরো অ্যাংগেল বসানো, রড বাঁধাই করা, কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া এবং সংযোগ সড়কের কাজ বাকি পড়ে আছে। </p> <p style="text-align:justify">এলজিইডির তথ্যানুযায়ী, ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ মেয়াদ অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ করার কথা। পরে আরো চার মাস মেয়াদ বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জমি দখলই নেশা ছিল ছাত্রলীগ নেতা দিনারের" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729832529-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জমি দখলই নেশা ছিল ছাত্রলীগ নেতা দিনারের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/25/1438980" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">উপজেলার রসুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবির হোসেন বলেছে, ‘বুক ধড়ফড় করে কাঁপে এই সাঁকো পার হইতে। কখন যে পা পিছলে পড়ে যাই, সেই ভয়ে থাকি। আমরা চাই, সেতুর কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হোক।’<br />   <br /> ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ‘যখন রশি টেনে নৌকায় শিক্ষার্থীরা পারাপার হতো তখনো কষ্ট ছিল। এখন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে সেই কষ্ট আরো বেড়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের সাঁকো পারাপার হতে হয়। সেতু নির্মাণের কাজ ধীরগতির কারণে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা এখন বেড়েছে। এখন নেই কাঠের সেতু, নেই খেয়া নৌকাও। যাতায়াতের কোনো বিকল্প পথ না থাকায় সপ্তাহ দুইয়েক আগে লোহার সেতুর ওপরই বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দিয়েছেন এলাকার কয়েকজন যুবক। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো দিয়েই পারাপার হয়।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের হয়ে খেলবেন সাকিব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729833231-af9a13b8828f143e441d9e1dc390109e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের হয়ে খেলবেন সাকিব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/10/25/1438981" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘মাদারবুনিয়া অংশের কিছু শিশু শিক্ষার্থী সাঁকো পারাপারে ঝুঁকি হওয়ায় ক্লাসে ঠিকমতো আসছেও না। তাই দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি আমাদের।’</p> <p style="text-align:justify">জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেতুটির লোহার অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই সেতু নির্মাণকাজ শেষ হবে।’  </p>