<p>স্ট্রেইন আসলে মাংসপেশিতে চোট, বেশি টান পড়ার কারণে এটি হয়ে থাকে। আর স্ট্রেইনস হলো দুটি অস্থি কিংবা মাংসপেশির সঙ্গে অস্থিতে যুক্ত করার রজ্জু বা ট্যান্ডনের চোট বা ছিঁড়ে যাওয়া। অল্পবয়সী শিশুর চেয়েও এই দুটি ইনজুরি বয়োসন্ধিকালে বেশি ঘটে। এই সমস্যায় পড়লে করণীয় কী হতে পারে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন—</p> <p><strong>প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী</strong></p> <p>সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ</p> <p>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</p> <p><strong>লক্ষণ ও উপসর্গাদি</strong></p> <p>* জয়েন্ট বা মাংসপেশিতে ব্যথা।</p> <p>* ফোলা বা রক্ত জমাট চিহ্ন।</p> <p>* আঘাতের স্থান তপ্ত ও লালচে।</p> <p>* জখমের অংশ নড়াচড়াতে সমস্যা।</p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>* তাৎক্ষণিক শিশু যাতে দৌড়াদৌড়ি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা।</p> <p>* প্রথম ৪৮ ঘণ্টার জন্য আরআইসিই।</p> <p>* শিশুর বিশ্রামের ব্যবস্থা করা। ব্যথা কমে না আসা পর্যন্ত জখমের অংশের পূর্ণ বিশ্রাম।</p> <p>* তাৎক্ষণিকভাবে আইসপ্যাক বা তোয়ালে জড়ানো বরফ ওই স্থানে লাগানো।</p> <p>প্রতিবার একনাগাড়ে ২০ মিনিটের বেশি নয়, দৈনিক চার থেকে আটবার।</p> <p>* সি<strong> (কমপ্রেশন) : </strong>অন্তত দুই দিনের জন্য ব্যান্ডেজের সাহায্যে ওই অংশে সাপোর্ট দেওয়া।</p> <p>* ই<strong> (ইলেভেশান) : </strong>ফোলা কমানোর লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ হার্ট লেভেলের ওপর তুলে রাখা।</p> <p>* ব্যথা ও ফোলা লাঘবে প্যারাসিটামল।</p> <p><strong>ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা যদি—</strong></p> <p>* জখম স্থান স্পর্শ করতে বা নড়াচড়াতে তীব্র ব্যথা হয়।</p> <p>* ওজন বহন করতে গেলেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।</p> <p>* রক্ত জমাট অবস্থা বেড়ে যাচ্ছে।</p> <p>* জখমের জায়গায় অবশ বা সুচ ফোটানো অনুভূতি।</p> <p>* হাত বা পা নেই মনে হচ্ছে।</p> <p>* ইনফেকশানসের লক্ষণাদি যেমন : গরম, লাল, ফোলা, ব্যথা ইত্যাদি দেখা গেলে।</p> <p>* চোটের পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেও তেমন উন্নতি দেখা না গেলে।</p> <p><strong>প্রতিরোধ</strong></p> <p>* খেলাধুলার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।</p> <p>* স্পোর্টসে অংশগ্রহণের আগে এবং পরে ওয়ার্ম আপ করা, যাতে দ্রুত বেশি চাপ না পড়ে।</p>