<p>একসময় বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, তড়িৎ ও চুম্বকের ক্রিয়া তাৎক্ষণিক ঘটনা। এদের প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে সময়ের দরকার হয় না। এই ধারণার বিরোধিতা করেন স্কটিশ পদার্থবিদ জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বা চুম্বকের প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে কিছুটা সময় লাগে। এদের গতি অসীম নয়। তবে আলোর বেগের সমান। আলোর আবিষ্কার ততদিনে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আলোও যে তড়িৎচুম্বক তরঙ্গ, ম্যাক্সওয়েল তা জানতেন না। তিনি জানান, তড়িৎচুম্বক তরঙ্গ সবসময় একই গতিতে ছড়ায়। অর্থাৎ ধ্রুবক। বোঝা গেল আলোর গতি ধ্রুবক।</p> <p>এই তত্ত্বগুলো ম্যাক্সওয়েল তাঁর তড়িৎচুম্বকীয় সমীকরণ থেকে দিয়েছিলেন। যে সমীকরণে ইলেকট্রনের গতিবিধির বিস্তারিত ছিল। কিন্তু ইলেকট্রনের আবিষ্কার তখনও হয়নি। ক্লাসিকাল তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান বলতে ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বই বোঝানো হয়। কোয়ান্টাম তত্ত্ব আবিষ্কারের পর ইলেকট্রনের গতিবিধি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়। কোয়ান্টামে ইলেকট্রনের চরিত্র সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য রয়েছে। কিন্তু ইলেকট্রন কোনো তড়িৎ বা চুম্বক ক্ষেত্রে ঢুকে গেলে কী হয়? ইলেকট্রনকে আলোর বেগে ছুড়ে দিলেই বা কী ঘটবে?— এসবের ব্যাখ্যা কোয়ান্টাম তত্ত্বে নেই।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পাউলির অপবর্জন নীতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729419445-85362263731da334379088c00c1b0868.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পাউলির অপবর্জন নীতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/20/1437151" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই ধাঁধার উত্তর দেন পল ডিরাক। শ্রোডিঙ্গারের বস্তুতরঙ্গ সমীকরণ আর আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা সূত্রের সমন্বয়ে তিনি ডিরাক সমীকরণ প্রণয়ন করেন। সেই সমীকরণ ইলেকট্রনের সাথে প্রতিকণার গতি প্রকৃতিও ব্যাখ্যা করে। জন্ম হয় কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানের। পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে সফল তত্ত্ব বলা হয় তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানকে।<br /> <br /> পল ডিরাক তাঁর যুগান্তকারী 'ডিরাক সমীকরণ' তৈরি করে কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানের সূচনা করেছিলেন। এই সমীকরণ বিদ্যুৎচুম্বক ক্ষেত্রে ইলেকট্রনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গলমেন্টের নতুন প্রমাণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729405628-cd7336b6e5bd722ee279af7017733d04.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গলমেন্টের নতুন প্রমাণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/20/1437084" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মহাবিশ্বে অসংখ্য ক্ষেত্র বা ফিল্ড রয়েছে। যা আলাদা, ভিন্ন ভিন্ন মনে হয়। অথচ প্রতিটি ক্ষেত্রই একই সূত্রে বাঁধা। যুগে যুগে বিজ্ঞানীরা সেই সূত্রের খোঁজই করে গিয়েছেন। ম্যাক্সওয়েল বিদ্যুৎ, চুম্বক ও আলোর সম্পর্ক খুঁজে বের করেছেন। জন্ম দিয়েছেন তড়িৎচুম্বক তত্ত্ব। আইনস্টাইন একই সূত্রে বেঁধেছেন স্থান ও সময়। কোয়ান্টাম তত্ত্ব উদ্‌ঘাটন করেছে কণা আর তরঙ্গের অভিন্ন রূপ। পল ডিরাক বিশেষ আপেক্ষিকতার সাথে কোয়ান্টাম তত্ত্বের যোগসূত্র দেখতে পেয়েছেন। এরপর সে দলে যুক্ত করেছেন তড়িৎচুম্বক তত্ত্বকেও। ‘ইউনিফিকেশন’ বা একত্রীকরণের এই ধারা আজ অবধি চলছে।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> ডিরাকের সমীকরণ<br /> কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব<br /> কোয়ান্টাম বর্ণ বলবিদ্যা</p> <p>জীবনী</p> <p>জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল<br /> ১৮৩১-১৮৭৯<br /> ইংরেজ বিজ্ঞানী, বিদ্যুৎ, চুম্বক ও আলোর আচরণকে একক তত্ত্বে ব্যাখ্যা করেছিলেন।</p> <p>পল ডিরাক<br /> ১৯০২-১৯৮৪<br /> ইংরেজ পদার্থবিদ, কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানে যার অনবদ্য গবেষণাই ছিল পরবর্তী গবেষকদের অনুপ্রেরণা।</p> <p>বর্ণনা<br /> লিওন ক্লিফর্ড</p> <p> </p>