<p>রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক আইজিপি শহিদুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।</p> <p>এর আগে আজ সকালে রিমান্ড শেষে শহিদুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক বায়েজীদ বোস্তামী।</p> <p>জানা যায়, সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন টকশোতে আন্দোলন দমনে উসকানিমূলক বক্তব্য, সরকার এবং পুলিশকে উসকানিমূলক পরামর্শ দেওয়ার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। রিমান্ডে এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখানো হয় সাবেক এ পুলিশ কর্তাকে। এর কোনো কিছুই অস্বীকার করেননি তিনি। তার দাবি, পরিস্থিতির কারণে তিনি সেটা করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক পুলিশ কর্তাদের ভোকাল হতে বলা হয়েছিল।</p> <p>জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেওয়া তদন্ত সংশ্লিষ্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের নামে নিপীড়ন, নির্যাতন গ্রেপ্তার ও গণহত্যায় পুলিশকে উসকানিমূলক পরামর্শ দিয়েছেন শহীদুল হক।</p> <p>ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, দমন-পীড়ন ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে শহীদুল হকের ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ম অনুযায়ী আদালতকে জানানো হবে। প্রয়োজনে আবারও তার রিমান্ড চাওয়া হবে।</p> <p>তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে উসকানি দিয়েছেন, পুলিশের তৎকালীন হাইকমান্ডকে নানা আন্দোলনের দমনে উসকানিমূলক পরামর্শ দিয়েছেন। টকশোতে কথা বলেছেন। উসকানির বেশ কিছু ম্যাসেজ, পরামর্শ ও যোগাযোগের তথ্য-প্রমাণ ও ভিডিও নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির কারণে সরকারকে সহায়তায় এসব করেছি। সাবেক পুলিশ কর্তা হিসেবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে তাকে ভোকাল হতে বলা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।</p> <p>উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। <br />  </p>