<p>করোনা পরবর্তী সময় থেকেই টালটামাল অবস্থা হলিউডের। এখনও পুরোদমে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনে ইন্ডাস্ট্রি। বিগ বাজেটের চলচ্চিত্রগুলো কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছেনা। গত বছর হয়ে গেল হলিউডের লেখক-অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘট। সব মিলিয়ে ক্ষতির মুখে আছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মাঝে সদ্যই স্কাইডান্সের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় স্টুডিও প্যারামাউন্ট। ইদানীং এই ধরনের ঘটনা দেখা মিলছে হলিউডে। ওটিটির রমরমা অবস্থায় বিপণন সংস্থাগুলোও খুব একটা ব্যবসা করতে পারছে না।</p> <p>সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানিয়েছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা জর্জ ক্লুনি। ক্লুনির মতে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান হলিউডকে গ্রাস করে ফেলছে। সিনেমা থেকে আয় করার বিষয়টিও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।</p> <p>জিকিউ ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ক্লুনি বলেন, ‘প্যারামাউন্ট অনেক পুরনো ও মৌলিক একটি স্টুডিও। তারা নিজেদের মতো কাজ করত। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে, যা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কেননা ব্যবসায় মার খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাপারটা এমন যে সবখানে ওয়ালমার্ট আর অ্যামাজনের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা হলিউডকে গ্রাস করছে। প্যারামাউন্টকে এ মডেলে ছোট শহরের একটা ছোট দোকান বলে ধরে নেয়া যায়।’</p> <p>জর্জ ক্লুনি হলিউডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা। অন্তত একটা সময় পর্যন্ত ছিলেন। পাশাপাশি প্যারামাউন্ট থেকে এসেছিল তার অভিনীত জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সব সিনেমা। কেবল ক্লুনি নন, হলিউডের আরো বড় বড় অভিনেতাকে বড় হতে সাহায্য করেছিল প্যারামাউন্ট। সে প্রতিষ্ঠানটিই প্রায় বিলুপ্তির পথে। ভ্যারাইটি জানিয়েছে, স্কাইডান্স প্রায় ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।</p> <p>প্যারামাউন্ট বিক্রি হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে হলিউডের স্টুডিও ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে। ক্লুনি অ্যামাজনের যে উদাহরণ দিয়েছেন তাও যৌক্তিক। কেননা এটিই এখন এমজিএমের মালিক। তবে এর মাধ্যমে তারকা তৈরি করার বিষয়টিও কমে যাচ্ছে।</p> <p>ক্লুনি বলেন, ‘তারা তারকা তৈরি করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে না। এ ব্যবস্থার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি আমরা। আগে একটি স্টুডিওর সঙ্গে একজন অভিনেতা তিন বা চারবার কাজ করতে পারতেন। এর জন্য থাকত নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও। কিন্তু এখন আর সে রকম কিছু নেই। তাই এখন সিনেমার প্রচার, সিনেমা থেকে আয় করার বিষয়টিও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’</p> <p>কিন্তু ক্লুনি মনে করেন, বর্তমান সময়টা তরুণ অভিনেতাদের জন্য ভালো। তিনি বলেন, ‘আগে প্রতিযোগিতা ছিল অনেক বেশি। এখনো আছে তবে স্টুডিওর একচেটিয়া কর্মকাণ্ড কমেছে। তরুণরা চাইলে নিজেদের চেষ্টায় এগোতে পারে।’</p>