<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রোকেয়া বেগম প্রায় ১০ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেননি তিনি। একের পর এক চিঠি দিয়েও তার সাড়া পায়নি কর্তৃপক্ষ।</p> <p>হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরুতে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রোকেয়া বেগম। মাসখানেক তিনি হাসপাতালে আসেন। তবে সপ্তাহে দুই একদিন এসে কিছু সময় থেকেই চলে যেতেন তিনি। রোগী দেখার বিষয়েও তার তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না। কোনো রোগী তার কক্ষে পাঠালে বিরক্ত বোধ করতেন তিনি।</p> <p>রোকেয়া বেগম হাসপাতালে যোগদানের মাসখানেক পরই আসা বন্ধ করে দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে যোগদানের জন্য একাধিক চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পায়নি। বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়কেও অবহিত করা হয়। এরই মধ্যে জানা যায়, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন। তবে এ জন্য তিনি কোনো ধরনের অনুমতি নেননি কিংবা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেননি।</p> <p>আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এ হাসপাতালে দ্বিতীয়বারের মতো যোগ দিয়েছি। প্রথমবার দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ই চিকিৎসক রোকেয়া বেগম অনুপস্থিত ছিলেন। একাধিক চিঠি দিয়েও সাড়া পাইনি। পরে অন্য মাধ্যমে জানতে পেরেছি ওনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন। গত সপ্তাহে আমি যোগদান করেও দেখি, ওনি অনুপস্থিত। ওনার পদটি খালি করে যেন আরেকজনকে পদায়ন করা হয় সেই বিষয়ে সিভিল সার্জনের কাছে পুনরায় চিঠি লেখা হবে।’</p> <p>রবিবার দুপুরে সদ্য যোগ দেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়ার কাছে ফোন করা হলে বিষয়টি জেনে বলবেন বলে জানান। বিকেলে তিনি বলেন, ওই চিকিৎসক বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তিনি ফোনও ধরেন না কিংবা কোনো চিঠিরও জবাব দেন না। তিনি দেশে আছেন কি নেই সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।</p> <p>তিনি বলেন, ‘কাগজে-কলমে এখনো ওই চিকিৎসক আখাউড়াতে কর্মরত। তবে ওনার বেতন-ভাতা বন্ধ আছে। শুনেছি মাঝখানে তিনি ডেপুটেশনে ঢাকার হাসপাতালে যোগদানের আদেশ করান। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কিছু অবগত করেননি কিংবা আমরা এ সংক্রান্ত কোনো চিঠিও পাইনি। ওনার জায়গায় যেন আরেকজনকে পদায়ন করা হয়, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখব। পাশাপাশি ওনার বিরুদ্ধে যেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটি লেখা হবে।’</p>