<p>ফেনীর জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ শাহিনা আক্তারের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) সকালে শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিপ্লবী ছাত্র সমাজের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।</p> <p>মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে শিক্ষার্থী নাঈম ফরায়েজীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আনু জাফর, সৌরভ হোসেন শাকিল, নাঈমুল ইসলাম, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রফিকুল ইসলাম রাতুল, আইসিএসটির সালেহ উদ্দিন শাওন, ফোরকান উদ্দিন সিয়াম প্রমুখ।</p> <p>এ সময় তারা ডিসি শাহিনা আক্তারকে মহিপালের গণহত্যার প্রধান সহযোগী, ২৪ এর বন্যার নীরব দর্শক, দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লেখ করে অপসারণ ও বিচারের দাবি করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্ল্যাহকে ৫ দিনের রিমান্ড" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729697584-8c5207603e62134846eef32171bd9a9b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্ল্যাহকে ৫ দিনের রিমান্ড</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/10/23/1438390" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, গত ৪ আগস্ট মহিপালে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণে ১৩ জন শহীদ হয়েছেন। সে সময় দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিত থাকলেও ডিসি শাহিনা আক্তারের নির্দেশনা না পাওয়ায় তারা ও পুলিশ বাহিনী কোনো ধরনের সহায়তা করেনি। এখন পর্যন্ত কোনো খুনিকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে দেখা বা সাহায্য পর্যন্ত করেননি। এমনকি আহতদের পরিবারকে কোনো সহযোগিতা করেননি।</p> <p>শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র জনতা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল, কিন্তু পুলিশ মিছিল করতে দেয়নি। আন্দোলনে অযৌক্তিকভাবে বার বার হামলা করেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন। আবার কারো কারো অঙ্গহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। আহতরা এখনো হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। ডিসি শাহিনার আক্তারের অপসারণ ও বিচারের দাবি অব্যাহত থাকবে। </p>