<p>প্রেম করে বিয়ে বিয়ে করছিলেন গার্মেন্টসকর্মী কামাল উদ্দিন(৪০)। ১৫ বছর ধরে সংসারের পর জানলেন স্ত্রী বেশ কয়েকটি মাদক মামলার পরোয়ানা ভুক্ত আসামি। এ ঘটনা জানার পর ৯ বছর বয়সের কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় স্ত্রী। এ অবস্থায় সম্প্রতি ডাক যোগে স্বামীকে ডির্ভোসের চিঠি পাঠায়। এমন ঘটনা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা মহল্লায়।</p> <p>গার্মেন্টসকর্মী কামাল জানান, তিনি গত ২০০৯ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন সহকর্মী ছামিনা খাতুনকে(৩০)। তিনি হচ্ছেন দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। বিয়ের পর কর্মস্থল গাজীপুর জেলায় ভাড়া বাসায় সংসার ভালোভাবেই চলছিল। এর মধ্যে দুই সন্তানের জন্ম হয়। গত প্রায় চারমাস আগে চাকরি ছেড়ে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নান্দাইলে গ্রামের বাড়ি চন্ডীপাশা মহল্লায় চলে আসেন। বর্তমানে ছেলে আলিফের বয়স ১১ ও মেয়ে আয়সার বয়স ৯ বছর। </p> <p>কামাল জানান, গাজীপুরে বসবাসরত অবস্থায় গত প্রায় তিন বছর ধরে স্ত্রী কিছুটা বেপরোয়া হতে থাকে। তাঁকে না বলেই অজ্ঞাত স্থানে চলে যেতো। কিছু বললেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন। পরে জানতে পারেন স্ত্রী ঢাকা ও দিনাজপুরের বিভিন্ন থানার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। বিয়ের আগেও জেল খেটেছেন। বর্তমানেও তাকে পুলিশ খুঁজছেছে। এ অবস্থায় এসব বিষয়ে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজ ছাড়াও বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় বলে জানায়।  পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্ত্রী ছামিনা খাতুনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। এসব মামলার আসামি হয়ে তিনি এখন ফেরারী। ঘটনা জানার পর গত এক মাস আগে স্ত্রী ছামিনা কাউকে কিছু না বলে শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। </p> <p>কামাল আরো জানান, এর মধ্যে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও বন্ধ পান। এক পর্যায়ে দিনাজপুরে শ্বশুড়বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কোনো ধরনের সন্ধান করতে পারেননি। এর মধ্যে গত সপ্তাহে পিয়ন তাঁর বাড়িতে গিয়ে একটি চিঠি পৌঁছে দেন। পরে জানতে পারেন স্ত্রী ছামিনা তাঁকে তিন তালাক দিয়েছেন। ঘটনার পর  থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।</p> <p>কামাল বলেন,‘বিয়ের পর থাইক্যা তো হে ভালাই আছিন। এর মধ্যে দুই সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধইর‌্যা মাঝে মধ্যে হে(স্ত্রী) না কইয়া কইযে যায় কিছু কইতো না। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন হুমকি দিতো। লোক লজ্জার ভয়ে কাউরে কিছু কইছি না। পরে তো হুনি হে বিরাট মাদক ব্যবসায়ী। অহন আমি তারে ধরাইতে চাই।’</p> <p>এ ঘটনার পর কামালের কাছ থেকে স্ত্রী ছামিনার মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।</p>