<p>রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এই তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তবে বান্দরবানের বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।</p> <p>উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা জানান, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি এবং ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়িতে ভ্রমণের ওপর আরোপ করা সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হবে। ওই দিন থেকেই এই দুটি জেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।</p> <p>উপদেষ্টা জানান, বান্দরবানেও খুব সহসাই পর্যটক ভ্রমণ খুলে দেওয়া হবে। তবে কবে এটি খোলা হবে সেই বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।</p> <p>বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উম্মে কুলসুম জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটন খুলে দেওয়ার উপায় নির্ণয়ের জন্য বুধবার বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়েছে।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় ওই সভায় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।</p> <p>কালের কণ্ঠ’র খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি আবু দাউদ জানান, ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটন খাত খুলে দেওয়ার খবরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে পর্যটননির্ভর খাগড়াছড়ি জেলায়।</p> <p>খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হচ্ছে। ওই দিন থেকে পর্যটকরা ঘুরতে পারবেন পর্যটক কেন্দ্রসমূহ। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p>৭ অক্টোবর বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ যুগপৎভাবে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই তিনটি জেলায় ‘পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত’ করা হয়।</p> <p>বান্দরবান হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাগজেপত্রে নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হলেও এটি ছিল নিষেধাজ্ঞা। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনো পর্যটক পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ভ্রমণ করতে পারেননি। এর ফলে পর্যটন ব্যবসা মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে।</p> <p>পর্যটক ভ্রমণের ওপর থেকে আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার রাজধানীর শাহবাগে এবং মঙ্গলবার টিএসসি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।</p>