<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে প্রায় ছয় মাস ধরে চলছে বিদ্যুতের মিটার ও সার্ভিস ড্রপ তারের চরম সংকট। নতুন সংযোগের জন্য আবেদনকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের অফিসের ধরনা দিয়েও মিলছে না সংযোগ। এতে তাদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস ড্রপ তার ও মিটারের সরবরাহ না থাকায় নতুন সংযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান ঘটবে বলে জানিয়েছে তারা।</p> <p>পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা গেছে, এক হাজারের বেশি গ্রাহক নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বৈদ্যুতিক মিটার ও ড্রপ তারের সরবরাহ। এ কারণে নতুন এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন গাছাড়া দিয়ে বসে আছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে মিটার এবং তারের সংকট দেখা দিলেও বিষয়টি কোনো আমলেই নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। মিটার সংযোগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা দেখা যায়, বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর জটলা। এ সময় কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের সবার মুখেই শোনা যায় ভোগান্তি ও হতাশার কথা। প্রতিনিয়ত অফিসে আসছেন। ইলেকট্রিশিয়ানদের জন্য ধরনা দিয়েও তাদের পাচ্ছে না। মিটারের জন্য বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন উভয়ে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষের নীরবতাকেই গ্রাহকসেবার নামে ভোগান্তি হিসেবে দায়ী করছেন অনেকে। তবে সেবার মান বৃদ্ধিতে সংযোগ তার এবং মিটার সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা গ্রাহকদের।</p> <p>উপজেলার কান্তনগর এলাকার হজরত আলী বলেন, ‘নতুন সংযোগের জন্য তিন মাস আগে এই অফিসে আবেদন করেছি এবং মিটারের জন্য টাকাও জমা দিয়েছি। সেই থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে অফিসে আসি। আমি এখানে ঘুরতে ঘুরতে বিরক্ত।’</p> <p>নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আবেদনকারী বলেন, নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছি চার মাস আগে। তবে কবে সংযোগ পাব জানি না। কিছুদিন পর পর অফিসে এসে ধরনা দিই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।</p> <p>বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সিনিয়র জিএম আমজাদ হোসেন বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী মিটার ও সার্ভিস ড্রপ তার সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে গ্রাহককে নতুন সংযোগ দিতে পারছি না। আশা করছি, এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে না।’</p>