<p>সেন্ট মার্টিনে সরকার কর্তৃক রাত্রিযাপন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিলসহ ট্যুর গাইড আইনের কালো ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। না হলে দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে টোয়াব বাধ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে সম্মেলনে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘূর্ণিঝড় ডানা : ভেঙে গেল ইনানী নৌবাহিনীর জেটি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729749606-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘূর্ণিঝড় ডানা : ভেঙে গেল ইনানী নৌবাহিনীর জেটি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/24/1438617" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে কোনো পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে সরকার পর্যটক যাতায়াত বন্ধ রাখবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। এতে করে পর্যটন শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে।’</p> <p>সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা সবাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সেন্টমার্টিনে পর্যটন বন্ধ হলে তারা সবাই বেকার হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের আর্থিক বিনিয়োগ এখন ঝুঁকির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, পার্বত্য অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞার কারণেও পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং উদ্যোক্তাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দুপুরের মধ্যে দেশের ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729746551-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দুপুরের মধ্যে দেশের ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/24/1438605" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টোয়াব সভাপতি বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত ছাড়াও ট্যুর অপারেটরদের নিবন্ধন সংক্রান্ত নতুন গেজেটে কিছু নিয়ম ও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে, যা মেনে চলা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। গেজেটে উল্লিখিত বিধিনিষেধ ও নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিধিমালায় দেখা যায় ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) লাইসেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি, ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্থিতির সার্টিফিকেট ও ৩ লাখ টাকা জামানত প্রদান করতে হবে, যা ট্যুর অপারেটরদের জন্য সম্ভবপর নয়। এতে করে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বিকাশমান পর্যটন শিল্পের স্বার্থে ট্যুর অপারেটরদের সেবার উপর মূসক আরোপ রহিত করতে হবে। কারণ ট্যুর অপারেটর সেবার উপর ১৫ শতাংশ মূসক ধার্য করার ফলে প্যাকেজ মূল্য তথা ট্রাভেল কষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে করে গোটা পর্যটন শিল্প বিশেষ করে অস্তগামী ও অভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু পর্যটন শিল্প একটি ব্যাপক ও অনেকগুলো সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, মুসক আরোপের ফলে অগ্রসরমান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।’</p>