<p>নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ইলিশ বাঘার নদী এলাকায় অবাধে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব চলছে। ইলিশ রক্ষা অভিযান দলের কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীজুড়ে ইলিশ নিধনের উৎসব চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।</p> <p>শনিবার (১৯ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে কয়েক শ মাছ ধরার ডিঙি নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো নদী। অভিযোগ রয়েছে, ইলিশ রক্ষা অভিযান দলের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই অবাধে ইলিশ নিধন করছেন জেলেরা। ওই অসাধু ব্যক্তিরা বিশেষ সুবিধা নিয়ে প্রশাসনের অভিযানে নামার খবর জেলেদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে জেলেরা সতর্ক হয়ে যান। অভিযান শেষে আবার নদীতে জাল নিয়ে নামেন তারা।</p> <p>জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর চকরাজাপুর, মনিগ্রাম ইউনিয়নের চকরাজাপুর, চরকালিদাসখালী, আতারপাড়া, পলাশী ফতেবপুর, সড়কঘাট, খায়েরহাট, মুশিদপুর, সরেরহাট, কিশোরপুর, আলাইপুর, মীরগঞ্জ, চর ব্যারেট, শৌলা তারের পোল পয়েন্টে অবাধে চলে ইলিশ শিকার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামেন। অসাধু লোকদের মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর পৌঁছে যায় জেলেদের কাছে। যার কারণে নিয়মিত অভিযান চললেও ইলিশ শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।</p> <p>সংশ্লিষ্ট এমন একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বাঘা পদ্মার উপজেলা মৎস্য বিভাগ একাধিক টিমে ভাগ হয়ে নদীতে অভিযান চালায়। এসব অভিযানে দ্রুতগতির ট্রলার ও স্পিডবোট ব্যবহার করা হয়। এসব ট্রলার ও স্পিডবোটের যারা মাঝি থাকেন, তারাই জেলেদের কাছে অভিযানের সংবাদ পৌঁছে দেন। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা মাছ নদীর আশপাশে গোপনে বিক্রি করা হয়। এ বিক্রির সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত থাকেন। জেলেদের কাছ থেকে কম দামে ইলিশ মাছ কেনেন স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সদস্যরা। তাদেরও রয়েছে সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের বাইরে জেলেরা অন্যদের কাছে মাছ বিক্রি করতে পারেন না।</p> <p>উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযান চলমান রয়েছে। যদি মৎস্য বিভাগ বা নৌ পুলিশের কোনো সদস্য বিশেষ কোনো সুবিধা নিয়ে জেলেদের কাছে অভিযানের তথ্য ফাঁস করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। </p>