<p>পিসার হেলানো টাওরার বা মিনার পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন স্থাপত্য। বিস্ময়করও বটে। এর খ্যাতি জগৎজুড়ে। তবে নেহাৎ প্রাচীন টাওয়ার বলেই এর খ্যাতি নয়। এর মাহাত্ম্য হলো, এটা হেলানো অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী। একবারও কি মনে হয় না, এই টাওয়ার কেন কবে হেলে পড়েছিল?</p> <p>পিসার টাওয়ারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১১৭৩ সালে। প্রায় ২০০ বছর লেগেছিল এর নির্মাণকাজ শেষ করতে। স্থপতিরা একে সোজা টাওয়ার হিসেবেই গড়তে চেয়েছিলেন। সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু কাজ শুরুর বছর পরই এটি একটু একটু করে হেলতে শুরু করে।  টাওয়ারটির হেলে পড়ার মূল কারণ ছিল এর ভিত্তিতেই। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পৃথিবীর সবচেয়ে বদমেজাজি মাছ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729318939-3bf22bd8cf84b2f7b1465c7108bd4e97.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পৃথিবীর সবচেয়ে বদমেজাজি মাছ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/19/1436743" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সেই কালে পিসার মাটি ছিল খুবই নরম। সেই নরম মাটির ওপরেই এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ এই মাটি বড় অবকাঠামোর ওজন সঠিকভাবে ধারণ করতে সক্ষম ছিল না। পিসার টাওয়ারের উচ্চতা ১৬৩ ফুট। এত উঁচ ভবনের জন্য দরকার ছিল মজবুত ভিতের। সেটা তো হয়ইনি। বরং এর ভিত্তি ছিল মাত্র তিন মিটার গভীরে। সেই সময়ে মাটি কতটা স্থিতিশীল, তা পর্যবেক্ষণ করার কোনো আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। ফলে টাওয়ারটির দক্ষিণ দিকে মাটি একটু বেশি সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তখন টাওয়ারটি সেদিকেই হেলে যায়।</p> <p>তিনটি পর্যায়ে টাওয়ারটির নির্মাণকাজ করা হয়। প্রথম ধাপে প্রথম তিনটি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। এর পরই ১১৭৮ সালে স্থপতিরা বুঝতে পারেন, টাওয়ারটি দক্ষিণ দিকে হেলে পড়ছে। কিন্তু এর কাজ তখন বন্ধ করা হয়নি। বরং কিছু সময়ের জন্য এর কাজ স্থগিত রাখা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১৯০৩ সালের পোস্টকার্ড, ঠিকানা পেয়েছে ১২১ বছর পর!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729165552-7900c456b8048580d26d8282c257c48b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১৯০৩ সালের পোস্টকার্ড, ঠিকানা পেয়েছে ১২১ বছর পর!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/17/1436148" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ত্রয়োদশ শতকের প্রথম ধাপে নির্মাণকাজ ফের শুরু হয়। স্থপতিরা টাওয়ারের ওপরের অংশটি হেলানো দিকের বিপরীতে ঝুঁকিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তারা পুরোপুরি সফল হননি।  অবশেষে ১৩৭২ সালে পিসার টাওয়ারের নির্মাণকাজ শেষ হয়। তত দিনে এটি প্রায় ৪.৫ ডিগ্রিতে হেলে পড়েছিল।</p> <p>একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিজ্ঞানীরা টাওয়ারটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। কারণ ওই সময়ে এটি আরো হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুদিন দেরি হলে হয়তো ধসেই যেত। তাই ১৯৯০-এর দশকে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে সাপ শত্রুর চোখে বিষ ছুড়ে মারে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729161454-d65104bb41f737a02733e21ec11a2636.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যে সাপ শত্রুর চোখে বিষ ছুড়ে মারে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/17/1436127" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টাওয়ারটি স্থিতিশীল করার জন্য মাটির নিচ থেকে কিছু মাটি সরিয়ে নেওয়া হয়, যাতে এটি বিপরীত দিকে একটু সোজা হয়। তারপর টাওয়ারের চারপাশে ইস্পাতের তার দিয়ে একে শক্তভাবে বেঁধে রাখা হয়। প্রায় এক দশক লাগে মেরামত করতে। ২০০১ সালে টাওয়ারটিকে আবার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।</p> <p><br /> সূত্র : অল অ্যাবাউট হিস্ট্রি</p>