<p style="text-align:justify">বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা এলাকায় চাঁদাবাজি এবং বাড়িঘর ও মাছের ঘের দখল চলছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের (শিপন কাজী) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার ওই মানববন্ধনে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার সহস্রাধিক ভুক্তভোগী অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হলে সুযোগসন্ধানী শিপন কাজী লন্ডনে চলে যান। এর আগে তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলতেন। তার কারণেই দীর্ঘ ১৭ বছরে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন বিরোধী কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি-আ. লীগের সংঘর্ষ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729334938-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি-আ. লীগের সংঘর্ষ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/19/1436796" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ সময় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর শিপন কাজী লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আওয়ামী দুঃশাসনের দোসর, অর্থ জোগানদানতা ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে তাদের দলে যোগদান করিয়ে নব্য বিএনপি সাজিয়ে নিজস্ব গ্রুপ গড়ে তুলেছেন। এরপর তাদের দিয়ে মৎস্য ঘের দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেলেও কথিত নব্য বিএনপির দাপটে প্রকৃত বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়ে বাড়িঘর ছাড়া হতে বাধ্য হচ্ছেন।</p> <p style="text-align:justify">ভুক্তভোগী ইউসুফ শেখের নাতনি হাসান শেখ বলেন, ‘আমার নানার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে, বাড়িঘর দখল করে নিয়েছে। আমরা সবাই এখন বাড়িছাড়া। স্বৈরাচার হাসিনার চেয়েও খারাপ শিপন কাজী ও তার বাহিনীর লোকজন। আমি নানার টাকা ফেরত চাই।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728831742-9606276adc016c96a5be27b0f224a048.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/13/1434767" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আরেক ভুক্তভোগী তানিয়া ইসলাম বলেন, ‘কাজী শিপনের চাঁদাবাজি ও দখলের হাত থেকে আমরা সবাই রেহাই পেতে চাই। স্থানীয় বিএনপি নেতা ও প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমার আত্মীয়-স্বজন অনেকের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, আমরা এলাকা ছাড়া। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও দখলকৃত ঘের ফেরত চাই।’</p> <p style="text-align:justify">হাফেজ মাওলানা মুফতি মতিউর রহমান বলেন, ‘শিপন কাজী ও তার লোকজন এলাকায় চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। ৫ আগস্টের আগে শিপন কাজী আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে কাজ করেছেন। তার নেতৃত্বে দুই শতাধিক মাছের ঘের দখল হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমরা এর প্রতিকার চাই।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/18/1729265498-8f464f3e647952e2b6467ba42cf4b721.png" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/18/1436510" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির সাইনবোর্ডকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে দল সাজাচ্ছে শিপন কাজী। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও সাড়ে চার লাখ টাকা লুট করেছে আওয়ামী লীগ নেতা দাউদ মৃধা। তাকেও বিএনপিতে যোগদান করিয়েছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে এলাকায় লুটপাট ও অনিয়মের কোনো নিউজ প্রকাশ করতে দিচ্ছেন না তারা।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা বলেন, ‘এলাকার আওয়ামী এজেন্ট ও দালাল শিপন কাজীর বিরুদ্ধে এলাকায় ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। সে অর্থের বিনিময়ে থানা ও উপজেলায় বিএনপির পকেট কমিটি করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান বাদশাকে দলে যোগদান করিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করেছে।’</p>