<p>সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপি হওয়ার পথ ধরে এগিয়েছেন মন্ত্রিত্বের পথে, আর গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। অভিযোগ উঠেছে, অজস্র অপকর্মের মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে নিষেধ করলেন টুকু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729337195-f71d36021ff40d7afb3ad8ae8faa6cf2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে নিষেধ করলেন টুকু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/19/1436805" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্থানীয়রা জানায়, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক, তার স্ত্রী শাবানা মালেক এবং ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র মিলে একটি বিশাল রাক্ষসী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে তার ফুফাতো ভাইসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও আত্মীয়স্বজন ছিলেন, যারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।</p> <p>জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এক পর্যায়ে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। এরপর থেকেই তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে। স্ত্রী শাবানা মালেক মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। প্রথমে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকারকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া হলেও পরে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।</p> <p>অন্যদিকে, তার ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশি সুমন ও ইরাদ কৌরাইশি ইমনের মাধ্যমে অবৈধ বালু ব্যবসা এবং জমি দখলের মতো কার্যক্রম চালায়। এমনকি সরকারি হাসপাতালে নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিতেও অভিযোগ রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এবারও সংলাপে ডাক পায়নি জাপা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729326542-70454e14abdb7aca1e74ce68fafaa139.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এবারও সংলাপে ডাক পায়নি জাপা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/19/1436770" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অভিযোগ রয়েছে, জাহিদ মালেকের নির্দেশে তার ফুফাতো ভাই মানিকগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক খান তুষারসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা মিলে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা অবৈধভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে সম্পদ গড়ে তুলেছেন।</p> <p>এছাড়া, মানিকগঞ্জের গড়পাড়া গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি, বাসস্ট্যান্ডে ১০তলা ভবন, ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটসহ দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন জাহিদ মালেক ও তার পরিবার। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর তার সম্পদ ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।</p> <p>অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতা প্রয়োগ করে স্থানীয় জনগণের জমি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়া হয়েছে। যারা জমি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেছেন, জাহিদ মালেকের লোকজন তাদের জমি দখল করে রেখেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রথম দফায় লেবানন থেকে দেশে ফিরছেন ৫৪ প্রবাসী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729337977-9e8a01bfb2c96c61eda1158eb7452e8d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রথম দফায় লেবানন থেকে দেশে ফিরছেন ৫৪ প্রবাসী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/19/1436807" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মানিকগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও জনগণও জাহিদ মালেক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।</p> <p>সরকারের পতনের আগেই জাহিদ মালেক ও তার পরিবার সপরিবারে ব্যাংকক পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।</p>