<p style="text-align:justify">পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী অপসারণের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ব্ল্যাক ‘আউট কর্মসূচি’ পালন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, আরইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে বন্দরের ৩৬০ মেগাওয়াট ও ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ হরিপুরের ১০টি উৎপাদনকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। বিকেল ৩টার পর থেকে বন্দরের কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না। তবে বিকেল ৫টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।</p> <p style="text-align:justify">নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জিএম মুশফিকুল হাসান জানান, কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়টি সমাধানে আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি মিটিংয়ে বসেছেন বলে জানান।</p> <p style="text-align:justify">বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে-এমন খবর পেয়ে হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মুহাইমিন আল জিহান জানান, বিকেলে কিছুক্ষণ বন্দরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বন্দরের হরিপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে এমন খবর পেয়ে বিকেলে আমি নিজেই সেখানে গিয়েছিলাম। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখেছি। তবে কতক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল এ বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন।</p>