<p>সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিনকে বদলি করা হয়েছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হলেও খরচের খাতা পুরো সচল রাখার অভিযোগ নিয়ে সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কালের কণ্ঠ অনলাইনে গত ১ অক্টোবর ‘<a href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/01/1430725">সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ</a>’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে এলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ প্রদান করা হয়।</p> <p>আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) যেকোনো সময় সালথা থেকে তার বিদায় নেওয়ার কথা রয়েছে। সকালে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে রাজি নয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729054623-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে রাজি নয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/16/1435695" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাজেদা বেগম পলিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ কালের কণ্ঠে প্রকাশের পর তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে তাকে সালথা থেকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ দেন। আজকের মধ্যে তার বদলির আদেশ কার্যকর করা হবে।’</p> <p>হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনবল ও সরঞ্জাম সংকটে এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। যে কারণে এখানে ভর্তি করা হয় না কোনো রোগী। তবে হাসপাতালটির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হলেও খরচের খাতা পুরো সচল রাখেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিন। এরই ধারাবাহিকতায় গত অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে ৪৫ লাখ টাকা হাসপাতালের রাজস্ব খাত থেকে উত্তোলন করেন তিনি। এর মধ্যে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আন্দোলনে নিহত সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদের পরিবার ভালো নেই" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729054411-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আন্দোলনে নিহত সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদের পরিবার ভালো নেই</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/16/1435694" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি ওষুধ উধাও করে দিয়ে চিকিৎসকরা কম্পানির ওষুধ লিখে দেওয়া হয় অসহায়-গরিব রোগীদের। ডা. কাজী আব্দুল মমিন ২০২৩ সালে ৮ মে সালথায় যোগদানের পর থেকে সাধারণ রোগীকে হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ভাতার টাকা আত্মসাৎ ও আনুতোষিক ভাতা নয় ছয় করে আসছেন তিনি। এমনকি ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন, খুদে চিকিৎসক ক্যাম্পেইন ভাতা ও মাঠকর্মীদের সম্মানী ভাতা পর্যন্ত নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছেন তিনি। এসব দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে গত ১ অক্টোবর ‘সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইনে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের ১৫ দিনের মাথায় ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো।</p>