<p>নাটোরের বড়াইগ্রামে কাল কেউটে সাপের কামড়ের ১৯ দিন পর এক গৃহবধূ মারা গেছেন। রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। </p> <p>মৃত ওই গৃহবধূ নাটোরের গুরুদাসপুরের বালিয়া গ্রামের শাহিন প্রামাণিকের স্ত্রী এবং বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি কাটাসকোল গ্রামের দুলাল হেসেন মৃধার মেয়ে লাবনি আক্তার লিজা (২৬)। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বড়াইগ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।</p> <p>লিজার ভাই রাসেল মৃধা জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ২টার দিকে রাতে ঘুমানোর সময় তার আঙ্গুলে সাপ কামড় দিলে সে অসুস্থতা অনুভব করে। পরে বিছানার কাঁথার নিচে সাপ দেখা যায়। পরে সাপসহ অসুস্থ লিজাকে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সাপটি শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু পাঁচ দিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিন আইসিইউতে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার রাতে সে মারা যায়।</p> <p>পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মানিক রানা জানান, সাপটি মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই সাপের বৈজ্ঞানিক নাম কমন ক্রেইট। যাকে বাংলায় কাল কেউটে বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে যে কয়টি সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়, এটি তার মধ্যে অন্যতম। সাপে কাটা রোগীকে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল।</p>