<p>গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী বিসিকসহ শিল্পাঞ্চলের ৯৫ ভাগ কারখানায় পুরোদমে কাজ চলছে। আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পোশাককর্মীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে দেখা গেছে। এসব কারখানার কোথাও শ্রমিক আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়নি। </p> <p>আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা নাগাদ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।</p> <p>কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে দুই হাজার ৬৩৩টি। এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক। এর মধ্যে টঙ্গী এলাকায় দুই শতাধিক কারখানা রয়েছে। </p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গী বিসিকসহ টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানাধীন দুই শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানে আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। কারখানার নিরাপত্তা রক্ষায় নিজস্ব কর্মী ছাড়াও শিল্প পুলিশ রাখা হয়েছে। বেলা ১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো শ্রমিক আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়নি।</p> <p>গত সপ্তাহে গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানায় বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ হয়। এতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে শিল্প-নগরীতে। চলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এতে বেশ কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আজকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ ও কারখানা বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি।</p> <p>বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি শফিউল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফিরে উৎপাদন চালু করেছে। এখন শিল্প অঞ্চলে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। </p> <p>জেনফার বাংলাদেশ লিমিটেড ওষুধ কারখানার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, কারখানা চালু রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।</p> <p>গাজীপুরের মহানগরীর পূবাইলে অবস্থিত এপিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম রেজা বলেন, ‘কিছুদিন শ্রমিকরা আন্দোলন করেছে। তখন কারখানা বন্ধ ছিল। আজ থেকে কারখানা খোলা। আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। অর্থনৈতিক সংকট চরমে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাংক লোন দেয়নি।</p> <p>গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, টঙ্গীর ৯৫ ভাগ কারখানায় কাজ চলছে। কোথাও শ্রমিক আন্দোলন নেই।</p>