<p>চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পটিয়ার বরকত উল্লাহ (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।</p> <p>শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান বরকত উল্লাহ। </p> <p>নিহত বরকত উল্লাহ পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের দারক গ্রামের হাজী আইয়ুব আলীর কনিষ্ঠ সন্তান। তারা ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে বরকতুল্লাহ সবার ছোট। তার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।</p> <p>বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>তিনি বলেন, নিহত বরকত উল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান। যারা আছেন হাসপাতালে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।</p> <p>নিহত বরকতুল্লাহর বড় ভাই এসকান্দার আলী বলেন, সীতাকুণ্ডের এস এন কর্পোরেশন নামের একটি শিপইয়ার্ডে চাকরি করতেন আমার ছোট ভাই বরকত উল্লাহ। বিস্ফোরণে তার শরীরের প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল থেকে তাকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে আইসিইউতে মারা যান। শনিবার রাত ১০টায় দারক জামে মসজিদের মাঠে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।</p> <p>এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।</p>