<p>মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন ‘নবী হোসেন গ্রুপের’ প্রধান নবী হোসেন (৪৭) ও তার ভাই সৈয়দ হোসেন ওরফে বুলুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।</p> <p>বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসী নবী হোসেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের দীর্ঘদিনের একজন বিশ্বস্ত সহচর হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তার। শনিবার (৩১ আগস্ট) ভোর রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ইরানী পাহাড় সংলগ্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উখিয়ার ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ইস্ট ব্লক-বি/৪১ এর মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে নবী হোসেন (৪৭) এবং তার ভাই সৈয়দ হোসেন ওরফে বুলু (৪৫)।</p> <p>এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন রোহিঙ্গা ৮ নম্বর ক্যাম্প-৮/ওয়েস্ট এর মেইন ব্লক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।</p> <p>তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত নবী হোসেন মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান। তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা চোরচালানের মূলহোতা বা গডফাদার হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের উখিয়া এবং টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় তার নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। যার মাধ্যমে তিনি হত্যা, অপহরণ এবং ইয়াবা চোরাচালান করে থাকেন।</p> <p>রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন প্রথম থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাধা দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে নবী হোসেন বাহিনী ইয়াবা পাচারের কাজে লাগিয়েছিল শত শত রোহিঙ্গাদের। </p> <p>তদুপরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নবী হোসেনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এত ব্যাপকতা লাভ করেছিল যে, তাকে কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছিল না। এ কারণে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নবী হোসেনকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে বিজিবি। তার বিরুদ্ধে বহু সংখ্যক হত্যা, মাদক ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।</p>