<p style="text-align:justify">কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার শিক্ষার্থী রেদোয়ান ইসলাম (২৪) সহ দুইজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৮১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুই মামলায় শনাক্ত আসামি ১২১ ও অজ্ঞাতনামা ১৬০ জন।</p> <p style="text-align:justify">গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি ও এর আগে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়।</p> <p style="text-align:justify">টঙ্গী পূর্ব থানার মামলার আসামিরা হলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান (৬৫), সহসভাপতি মতিউর রহমান মতি (৬০), গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমার সরকার বাবু (৪০), গাজীপুর মহানগর মোটর শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ওরফে লিটন মহাজন (৪৫), মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সদস্য কাইয়ুম সরকার (৪৫), মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি শাহ আলম (৪৮), গাজীপুর সিটির কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লা (৪০), আমির হামজা (৩৩), আমজাদ হোসেন (৪৫), নুরুল ইসলাম নুরু (৪৫ গিয়াস উদ্দিন সরকার (৫৫), মাজহারুল ইসলাম দিপু (৪৫), হেলাল উদ্দিন (৬০), সাবেক কাউন্সিলর সেলিম মিয়া (৫০)।</p> <p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হাসান খোকন (৫৫), আলী আফজাল খান দুলু (৬০), ফয়েজ আহম্মেদ মিন্টু (৪৫). আব্দুস কুদ্দুস পাঠান (৫৮), যুবলীগ নেতা জলিল গাজী (৫৫), ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হোসেন জয় (৩৫), রেজাউল করিম (৩৫), হুমায়ুন কবির বাপ্পি (৩০), কাজী মঞ্জুর (৩৫), দ্বীন মোহাম্মদ নীরব (৩২), শাহজাদা সেলিম লিটন (৪০), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫), মামুনুর রশিদ মোল্লা (৪০), সাইদুল হক প্রধান লিটন (৪৫), সজল সরকার (২৮), সাইদুল মৃধা (৪০), নুর মোহাম্মদ মামুন (৪৮) সহ শনাক্ত আসামি ৭৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৯০/১০০ জন।</p> <p style="text-align:justify">টঙ্গী পূর্ব থানার মামলার বাদী জাকির হোসেন জানান, গত ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টায় তার ছেলে নয়ন কলেজ গেইট এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার ছেলে নয়ন ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে পা থেকে গুলি বের করে। বর্তমানে নয়নের পা সংকটাপন্ন।</p> <p style="text-align:justify">অপরদিকে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ইলিয়াছ আহম্মেদ (৪৫), টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগৈর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মনি সরকার (৫০), টঙ্গী থানা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি কানন মোল্লা (৩৪), টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিক তালুকদার (২৮) সহ ৪২ জনকে শনাক্ত আসামি ও ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রেদোয়ান ইসলামের বাবা রেজাউল করিম।</p> <p style="text-align:justify">টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় রেদোয়ান ইসলাম বাসা থেকে মাদরাসায় যেতে বের হয়। দুপুর ১২টায় সে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন নিপ্পন গার্মেন্টসের সামনে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ওই নেতাকর্মীরা রেদোয়ানকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।</p> <p style="text-align:justify">টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাফিউল করিম ও পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান উল্লিখিত দুইটি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।<br />  </p>