<p>গত রবিবার ভোলা শহরে সংঘর্ষের পর থেকেই শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি। তিন দিন ধরে ভোলা শহরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এক প্রকার বিশৃঙ্খল অবস্থায় যান চলাচল করছে। এতে করে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে শহরে যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল। </p> <p>এ ছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের কর্মবিরতি চলায় এটি আরো তীব্র আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত শহরে যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলা ফিরাতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের নেতাকর্মীরা।</p> <p>দলটির নেতাকর্মীরা মাথায় টুপি, গায়ে লম্বা জুব্বা ও স্বেচ্ছাসেবীদের কটি গায় দিয়ে হাতে কাঠের লাঠি নিয়ে সড়কের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ভোলা শহরের বাংলাস্কুল মোড়, কালিনাথ বাজার মোড়, ইলিশ ফোয়ার মোড়সহ শহরের সদর রোডে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এসময় যানবাহনগুলো নিয়ম মেনে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে।</p> <p>ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিদায়ে দেশবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। এই সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। সাধারণ জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতেই তাদের এই উদ্যোগ। </p> <p>একই সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দিন রাত ২৪ ঘণ্টা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছেন। যাতে করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে তাদের কাজ-কর্ম থেকে শুরু করে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করতে পারেন। আর ইসলাম মানুষকে এটিই শিক্ষা দেয়। কিন্তু স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সময়ে মুসলমানদেরকে অন্য ধর্মের মানুষের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। আর আজ তাই তাদের এই নির্মম পরিণতি হয়েছে। আমরা সবাই মিলে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ রাষ্ট্র এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।</p>