<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনার জন্য ডাকা হলে তা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।</p> <p>সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। </p> <p>আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা হলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে স্লোগান দিতে থাকে। </p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অপু বলেন, ‘আমরা কনফারেন্স রুমে এসির বাতাস খেতে বসবো না, আমাদের সাথে বসতে হলে রাজপথে আসতে হবে, প্রয়োজনে শান্ত চত্বরে বসতে হবে।’</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, ‘প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে কিন্তু শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কাজের অগ্রগতি থাকে না। সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।’<br />  <br /> শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ  প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ০৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে  সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল ), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।</p>