<p>সরকারি ব্যবস্থাপনা কিভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ফ্যাকাশে করে দেয় তা আগের রেকর্ড পর্যালোচনা করলেই পাওয়া যাবে। ব্যবসা করার যে দক্ষতা সেটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের নেই। তারা বেসরকারি খাত থেকেও নিয়োগ দেয় না। মন্ত্রণালয় থেকে লোকবল নিয়োগ দেয়।</p> <p>উদাহরণ হিসেবে পাটকল, চিনিকলের কথা বলতে পারি। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যে কর্ম পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, ব্যাবসায়িক কৌশল, সেটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। এ ছাড়াও মার্কেটিং বা বিপণন কৌশলেও ঘাটতি রয়েছে সরকারি খাতে। বেসরকারি খাতের যেসব ব্যবসায় সরকার রিসিভার কিংবা প্রশাসক নিয়োগ করেছে সেগুলোও ক্ষতির মুখে পড়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আজ ১৮ নভেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731896608-57accffef4bf7c4763a2013c9ffbe06f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আজ ১৮ নভেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/11/18/1447909" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই ভরাডুবির জন্য দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাই মূলত দায়ী। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চাপে থাকেন। তাঁদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দায়িত্ব পালন না করলেও মাস শেষে কোনো জবাবদিহির মুখে পড়েন না। চাকরি বাঁচানো নিয়েও চিন্তা করতে হয় না। ফলে লক্ষ্য পূরণ করার তাগিদ থাকে না।</p> <p>৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক বসানোর প্রধান উদ্দেশ্য হলো—ন্যায্যতা ও ন্যায়নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রশাসক বসানো হলে এই উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসবে না।</p> <p>প্রতিষ্ঠানে ন্যায্যতা, নিয়ম, আর্থিক স্বচ্ছতা ফেরানোই মূল উদ্দেশ্য হতে হবে। শুধু ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ভেঙে দিলেই হবে না। অনিয়ম ব্যবস্থাপনার মডেলে পরিবর্তন আনতে হবে। বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও জাতীয় সম্পদ। তাই অনিয়মগুলো বন্ধ করে মূল ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাসপাতাল থেকে শিশু বদলের ৫৭ বছর পর মিলল পরিচয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731896200-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাসপাতাল থেকে শিশু বদলের ৫৭ বছর পর মিলল পরিচয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/11/18/1447908" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়লেও পরিচালনাটা বাণিজ্যিক হতে হবে। সম্পদের কোনো অপচয় যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসক কোনো প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারবে না। বিপণন বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না।</p> <p>বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগের কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কোনো দীর্ঘমেয়াদি বা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ছাড়া প্রশাসক বসানোর উদ্দেশ্য কার্যকর হবে না। মূলত ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই প্রশাসক বসানো হচ্ছে। ঋণখেলাপি বা রুগণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপদে পড়ছে। ফলে এখন বড় বড় প্রায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই সাধারণীকরণের ঘটনা ঘটছে। এতে বোঝা আরো বাড়লেও স্থায়ী কোনো সমাধান আসবে না। ভালো কম্পানির ক্ষেত্রে প্রশাসক বসালে প্রত্যাশিত ফলাফল আসবে না।</p> <p>লেখক : <strong>সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়</strong></p>