<p>সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। পাইকারি বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকায়, আর খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৬২ টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। রপ্তানি কম থাকার কারণে ডিমের দাম বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।</p> <p>রংপুরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের প্রতিটি দোকানেই ডিম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, আর খুচরা বাজারে হালিতে ৬০-৬২ টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, অতি দ্রুত সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ডিমের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অবশেষে বদলি হলেন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সালথার সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729055885-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অবশেষে বদলি হলেন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সালথার সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/16/1435700" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উৎপাদক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিমের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে পাইকারি ১১ টাকা এক পয়সা আর খুচরা মূল্য প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম।</p> <p>আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনসাধারণের প্রত্যাশা ছিল পণ্যের লাগামছাড়া দাম কমবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বাজারে সব পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। বিশেষ করে ডিমের বাজারে যেন আগুন। কোনোভাবে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যদিও এরই মধ্যে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুল্ক প্রত্যাহারেরও প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।</p> <p>ডিমের বাজারে সংকটের কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিমের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে কম। যদিও সরকার বলছে, উদ্বৃত্ত রয়েছে। এ অবস্থায় বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্যে এমন অসামঞ্জস্যতা এ সংকটের একটি বড় কারণ।</p> <p>রংপুর সিটি বাজারের ব্যবসায়ী ডিম বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ বাজারে ডিমের যে চাহিদা রয়েছে, তার চেয়ে কম ডিম বাজারে আসছে। মূলত এ কারণেই দাম বেড়েছে। আবার বাজারে ৫-৬ বার ডিম হাতবদল হচ্ছে। আর খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি লাভ করছেন।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে রাজি নয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729054623-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে রাজি নয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/16/1435695" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে, আমদানির খবরে বাজারে ডিমের দাম কমলেও এখনো প্রতি ডজন ডিম ১৬৫-১৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। যা এখনো সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে ডিমের দাম ডজন প্রতি ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।</p> <p>রংপুর ডিম বিক্রেতা শাহিন বলেন, ‘খামারিদের সঙ্গে আলোচনা করলে ডিমের দাম কমানো সম্ভব হবে। আবার ডিমের সরবরাহ কমেছে। খামারি ডিম এবং মুরগি উৎপাদন করে, কিন্তু দাম নির্ধারণ করতে পারে না। তাদের সুবিধামতো যে দাম নির্ধারণ করে সে দামে প্রান্তিক খামারিদের ডিম, মুরগি বিক্রয় করতে হয়। উৎপাদন কম বা বেশি যাই হোক। এর ফলে আমাদের বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।’</p> <p>রংপুর বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডিমের বাজার মনিটনিং করা হচ্ছে। তবে আমদানি কম থাকায় ডিমের দাম বেশি। আমদানি বৃদ্ধি পেলে ডিমের দাম কমে যাবে। রংপুর বিভাগের সব বাজারে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করা হলে সে সব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p>